Wednesday, January 30, 2013

ঝর্ণার নাম চিংড়ি ঝর্ণা

চট্টগ্রাম থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবান। বান্দরবান জেলা হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এর আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের অবারিত সবুজের সমারোহ এবং মেঘে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে যার আছে সে বাংলাদেশের পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান ঘুরে আসতে পারেন।
প্রকৃতির পাহাড়-ঝরণা-ছড়া-মেঘ-কুয়াশা-নদী আর রহস্যময় পাহাড় ঘেরা দীঘির অপার সৌন্দর্যের টানে বন্ধুরা মিলে এ বছরের শুরুতে বেড়াতে গিয়েছিলাম বান্দরবানের বগালেক, কেওক্রাডাং আর জাদিপাই ঝরণায়। মাঝে পেয়ে যাই এই চিংড়ি ঝরণা! তবে এখানে আজ চিংড়ি ঝরণার কথাই বলব, পরের পোস্ট-এ জাদিপাই/যাদিপাই নিয়ে লিখব।
চিংড়ি ঝরণাটা বান্দারবানের বগালেকের পরেই। আবার অনেকে কেওক্রাডাং থেকে বগালেকে আসার পথে দেখে আসতে পারেন।
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২১৬ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বগালেক। কেওকারাডাং এর কোল ঘেঁষে বান্দারবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। পাহাড়ের উপরে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে এই লেকের অবস্থান। এ পানি দেখতে প্রায় নীল রঙের। এ লেকের পাশে বাস করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র উপজাতীয় বম ও খুমী সম্প্রদায়। অদ্ভুদ সুন্দর এই নীল রঙ্গের লেকের সঠিক গভীরতা বের করা যায়নি। স্থানীয়ভাবে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ ফুট বলা হলেও সোনার মেশিনে ১৫১ ফুট পর্যন্ত গভীরতা পাওয়া গেছে। এটি সম্পূর্ণ আবদ্ধ একটি লেক। এর আশেপাশে পানির কোন উৎসও নেই। তবে বগালেক যে উচ্চতায় অবস্থিত তা থেকে ১৫৩ মিটার নিচে একটি ছোট ঝর্ণার উৎস আছে যা বগাছড়া (জ্বালা-মুখ) নামে পরিচিত। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে লেকের পানি প্রতি বছর এপ্রিল থেকে মে মাসে ঘোলাটে হয়ে যায়।
বগালেক

বগালেক

বগালেক

এছাড়া, পথের মাঝে রুমা বাজারের আগে একবার ট্রাভেলার ফরম ফিল আপ করাতে হবে, তার আগে বান্দরবন টাউন থেকে বের হয়েই আরেক দফা ট্রাভেলার ফরম ফিল আপ। আর্মিদের সাথে অযথা কথা না বাড়িয়ে টাইম লস করার কোন প্রয়োজন দেখি না আমি মাথায় রাখতে হবে বিকাল ৪ টার মাঝেই রুমা যেতে হবে নইলে সেদিন আর বগালেকে যেতে দিবে না আর্মি। আর বগা সেদিন দেখতে না পারা মানে আপনি চিংড়ির ফলস মিস করছেন।
আমরা বিডি রেঞ্জারস এর ২৫ জন মেম্বার বগালেক হয়ে কেও-এর পথে হাটছিলাম এর মাঝেই পড়ে চিংড়ি, আমার আইডিয়াই ছিল না পথে পথে এতগুলো ঝরণা দেখতে পাবো। বগা লেকের কথা আর কি বলবো? বগা লেক যে উঠতে পারবে সেই কেওক্রাডাং জয় করতে পারবে, ৬০-৭৫ ডিগ্রিতে পাহাড় বাইতে হবে হেটে। এটাই অনেকের জন্য এক্সাম ঢাকা আবার ফেরত আসবে কিনা!! বাকি পথের কথা না হয় নাই বললাম, নিজের চোখে দেখে আসার অনুরোধ করলাম।
আমরা রাতে ট্রেক্কিং করেছিলাম বলে রাতের বেলা চিংড়ি ফলস দেখা হয়নি সেদিন, গর্জন শুনেই অনেক দূর থেকে বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা আছে সামনে, সরূ পাহাড়ী রাস্তা পার হয়ে সেইদিনের মত চিংড়িকে বিদায় দিয়ে কেও এর পথে রওনা হচ্ছিলাম। মনে মনে ইচ্ছে হচ্ছিল আসার পথে দেখতেই হবে। হাতে পাহাড়ি রাস্তা বাইবার লাঠি, পিঠে ১৫ কেজির ব্যাগ, আরেক হাতে টর্চ রাতের বেলার সে অন্যরকমের জার্নি, পরিষ্কার কালো আকাশে হাজার হাজার তারা, তারাগুলো গুনে ফেলা যায়। হটাত খেয়াল হল আমি তো সাগর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০-২০০০ ফিট উপরে আকাশের মেঘ আমার নিচে ফেলে এসেছি। অনেক আপনজনকে মনে পড়ছিল কিন্তু মোবাইলটা বের করে দেখি আহা নেটওয়ার্ক তো বগালেক রেখে এসেছি, তাই ঘড়ি দেখে সামনে পাহাড় বাইছিলাম, দুই দিকে গাছপালা, কিছুদূরে গেলে আবার এক পাশে খাঁদ অন্যপাশে ঝোপঝাড় আর সামনে দেখি খালি উপরে উঠার পথ, মাঝে মাঝে মেঘের দেখা পাই, আবার মনে হচ্ছে কি যেন ঠান্ডায় গা ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। আসলে সেটা মেঘ পরে বুঝেছিলাম। আমার সঠিক মনে আছে তখন ঢাকায় ৭/৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে শীতকাল চলছে, আর আমি পাহাড়ে উঠছি দরদর করে ঘামছি আর মেঘের সাথে লুকোচুরি। রাতের বেলার ট্রেক্কিং এর মজা অন্যরকম সেটা এবার বুঝলাম। ২৫ জনের থেকে আলাদা হয়ে সবার শেষের দিকে রইলাম আমরা কয়েক জন, ৫ মিনিট হাটি তো ১০ মিনিট বিশ্রাম নেই, পানি আর গ্লুকোজ খেতে খেতে পাড়ি দিচ্ছিলাম পাহাড়ি রাস্তা। রাস্তায় ফয়সালের সাথে অনেক কথা হচ্ছিল ও নতুন বিয়ে করেছে তার বউ নিয়ে অনেক আলাপ সালাপ হচ্ছিল আর বারবার গালাগাল দিচ্ছিল “কেন যে আমারে তোরা এখানে আনলি শালারা” নইলে সে কি করত ব্লা ব্লা ব্লা। পথের মাঝে অনেক ফ্রেন্ডদের সাথে অনেক সুখের মথা মজার কথা শেয়ার হচ্ছিল অনেকদিন পর সব ফ্রেন্ডরা একসাথে যাচ্ছি।
চিংড়ি নিয়ে কিছু বলা দরকার এবার-
চিংড়ি ঝরণা
Lattitude: N21 58.450

Longitude: E92 29.209
বান্দরবান মানেই পাহাড়ের দেশ, বান্দরবান মানেই সবুজের দেশ, বান্দরবান মানেই ঝর্ণার দেশ। আর ঝর্ণা শব্দটাই কেমন যেন রিনিঝিনি ছন্দময় আনন্দময় আবহ জাগায় শরীর ও মনে। ইচ্ছে হয় ওর পানির সৌন্দর্য্য আর শীতলতায় ধুয়ে ফেলি জীবনের সব কালিমা, গাইডকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছিলাম এখানে নাকি এক সময় চিংড়ি মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু ঝর্ণার পানিতে চিংড়ি মাছ ? এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। পরে আমাকে গাইড বলে চিংড়ি আর থাকবে কিভাবে পাহাড়ীরা সব “খাই-দাই” সাবাড় করছে সেও ৭/৮ বছর আগেই। বগালেক থেকে কেওকারাডাং এর পথে ঘন্টাখানেকের পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেই এই চমৎকার ঝর্ণাটা পাবেন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেটুকু ঝর্ণা দেখা যায় এটুকুই কিন্তু চিংড়ি ঝর্ণা নয়। আসল টুকু দেখতে হলে আপনাকে বিশাল বিশাল পিচ্ছিল পাথরগুলো পেরিয়ে আর একটু ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে হবে । দেখবেন অসাধারণ একটি ঝর্ণা, যেন বাশ বাগানের মাথার অনেক উপর থেকে একেবেঁকে নেমে আসছে চমৎকার একটা স্রোতধারা ।
এই দিকেই চিংড়ি ঝরণা

এই দিকেই চিংড়ি ঝরণা

তবে শত সৌন্দর্যের মাঝেও আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এটা একটা বিপদজনক ঝর্ণা। কারণ এর বিশালাকার পিচ্ছিল পাথরগুলো যেকোন অসতর্ক মূহুর্তে ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ ।
তানভির ভাই

শান্ত ভাই

মেহেদী ভাই

আসার পথে আমি এসে দেখি সবাই ফটো সেশন করছে, বড় বড় পাথরগুলো মাড়িয়ে চিংড়িটা দেখে আসলাম। পথে কয়েক বার পিছলে পড়ে যাচ্ছিলাম, আমার পায়ের বুট কাজ করছিলো না। 
এই দিকেই চিংড়ি ঝরণা

চিংড়ি ঝরণার ঝিরি

চিংড়ি ঝরণার ঝিরি

চিংড়ি ঝরণার ঝিরি

কয়েক বার হোম সিকে পড়েছিলাম, আব্বা আম্মাকে মনে পড়ছিল- ঢাকা আবার যেতে পারবো কিনা চিন্তা করতে করতেই হটাত কেউ হয়ত পাশে এসে গল্প করছিল, আবার কতক্ষন গালাগালি করলাম কেন যে আইলাম এই সব নিয়া আবার মনে মনে বলছিলাম তাজিংডং যাই না শালার ভালোই হইছে একই জিনিষ আর পথের মাঝে বারবার সমতল যায়গা খুজছিলাম একটু বিশ্রাম নিবো বলে।
চিংড়ি

কিভাবে যাবেন বান্দরবন
ঢাকা থেকে বান্দারবান সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে- হানিফ, শ্যামলি, এস. আলম
চট্রগ্রাম থেকে যেতে চাইলে বদ্দারহাট টারমিনাল থেকে পুরবী, পুরবানীতে যেতে পারেন।

ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। ঢাকা থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সেখান থেকে পূরবী বা পূবার্নী বাসযোগ সরাসরি বান্দরবান যাওয়া যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনসমূহ:

-মহানগর প্রভাতী
-তূর্ণা নিশীথা

ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান; অথবা ডাইরেক্ট বান্দরবান যাওয়া যায়।
রুটঃ
১. বান্দারবান-চান্দের গাড়িতে/৪ হুইল জিপে করে রুমা বাজার আসতে হবে-নাম এন্ট্রি করে আবার রুমা থেকে বগালেকের ঢালে নামাই দিবে, মনে রাখা ভাল রুমা বাজার থেকে বিকাল ৪টার আগেই নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ। আর্মিদের কাছে রুমা বাজারে আর বগালেকে নিজের নাম এন্ট্রি, বাপের নাম, মোবাইল নাম্বার, ঢাকার ঠিকানা ফরমে এন্ট্রি করতে টাইম লাগে, যদি ঢাকা থেকেই সেটা পূরন করে নিয়ে যান তাহলে টাইম বেচে যাবে। নিচে স্যাম্পল দিলাম, কাজে লাগতে পারে। ফরমটা কেন লাগবে সেটা তো আগেই বলেছি মরি গেলে লাশটা যেন জায়গামত যায় তাই।

২. বগালেকের ১১৭৬ ফুট উঠার পর আবারও নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ, এবার খাওয়া দাওয়া শেষে আবার ট্রেক্কিং করতে হবে, আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাটলেই এই চিংড়ি ঝরণা পাওয়া যাবে।
কই থাকবেনঃ
১. বগালেকে থাকতে পারেন-বগালেকে থাকলে রাতের বেলার শিরাম মজা পাইবেন। যারা কেও যাবেন তারা সেইদিনই চাইলে কেও চলে যেতে পারেন, চিংড়ি থেকে কেও যেতে ২/৩ ঘন্টা লাগবে।
২. রুমা বাজার ফিরে যেতে পারেন যদি হাতে সময় থাকে, রুমায় এসি হোটেল আছে।

রাত্রি যাপনের জন্য বগালেকে জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি রেষ্টহাউস নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বম উপজাতী সম্প্রসাদায় কিছু ঘর ভাড়ায় দিয়ে থাকে । বগালেকের পাড়েই বসবাসরত বম সম্প্রদায় পর্যটকদের জন্য রান্না-বান্নার ব্যবস্থা করে থাকে । রুমা বাজার থেকে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ক্রয় করে নেওয়াই শ্রেয়। উল্লেখ্য যে, নিরাপত্তার জন্য রুমা ও বগালেক সেনা ক্যাম্পে পর্যটকদের রিপোর্টে করতে হয়। স্থানীয় গাইড ছাড়া পায়ে হেটে রুমা থেকে অন্য কোন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া উচিত নয়।
কি খাবেনঃ
রুমা বাজার থেকে ডাল ভাত সবই পাবেন, বগালেকে গেলেও ডাল ভাত পাবেন, কিন্তু একটু আলাদা পাহাড়ী টেস্ট পাইবেন।
বান্দরবন সিটিতে কোথায় থাকবেন তার হোটেল লিস্টি দিয়ে দিলাম কিছু-
হোটেল ফোর স্টার : (বান্দরবান সদর)
সিঙ্গেল ৩০০ টাকা, ডাবল- ৬০০, ট্রিপল ৯০০ টাকা, এসি ডাবল- ১২০০ টাকা।, এসি ট্রিপল ১৫০০ টাকা।
Phone: 0361-63566, 0361-62466, 01813278731, 01553421089

হোটেল থ্রী স্টার : এটি বান্দরবান বাস স্টপের পাশে অবস্থিত। নীলগিরির গাড়ী এই হোটেলের সামনে থেকে ছাড়া হয়। এটি ৮/১০ জন থাকতে পারে ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। বুকিং ফোন: থ্রী স্টার এবং ফোর ষ্টার হোটেল মালিক একজন, মানিক চৌধুরী-০১৫৫৩৪২১০৮৯।
হোটেল প্লাজা বান্দরবান: (সদর) Hotel Plaza Bandarban
Single 400tk, Double 850tk, AC 1200tk.
Booking Phone: 0361-63252

হোটেল গ্রিন হিলঃ (বান্দরবান সদর) Hotel Green Hill
Single 200tk, Double 350tk, Triple 500tk
Phone: 0361-62514, Cell: 01820400877

হোটেল হিল বার্ড (বান্দরবান সদর) Hotel Hill Bird
Single 250tk, Double 400tk, Triple 550tk
Phone: 0361-62441, Cell: 01823346382

হোটেল পূরবী (বান্দরবান সদর) Hotel Purobi
AC Deluxe 1400tk, AC Room 1200tk, General Single 259tk,
General Double 460tk, General Triple 600tk, General Couple 400tk
Phone: 0361-62531, Cell: 0155 6742434

Sunday, January 20, 2013

ঝরণার নামঃ জাদিপাই




Latitude: N21 55.763
Longitude: E92 30.335
জাদিপাই/ যাদিপাই ঝরণাটা কেওক্রাডাং থেকে দেড় থেকে দুই ঘন্টার পথ, শুধুই নামতে হবে, আমার মতে এটা আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝরণা, অনেক ঠান্ডা পানি, ১০ মিনিট ঝরণার পানিতে গোসল করা অনেক কঠিন একটা কাজ, আমি / মিনিটের বেশি টিকতে পারি নাই!!

কিভাবে যাবেনঃ
. ঢাকা থেকে বান্দারবান সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে- হানিফ, শ্যামলি, এস. আলম
. চট্রগ্রাম থেকে যেতে চাইলে বদ্দারহাট টারমিনাল থেকে পুরবী, পুরবানীতে যেতে পারেন

রুটঃ
. বান্দারবান-চান্দের গাড়িতে/ হুইল জিপে করে রুমা বাজার আসতে হবে-নাম এন্ট্রি করে আবার রুমা থেকে বগালেকের ঢালে নামাই দিবে, মনে রাখা ভাল রুমা বাজার থেকে বিকাল ৪টার আগেই নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ।
. বগালেকের (বগালেক নিয়ে বিস্তারিত নিচে দেখুন) ১১৭৬ ফুট উঠার পর আবার নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-, এবার খাওয়া দাওয়া শেষে আবার ট্রেক্কিং করতে হবে, আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাটলেই এই চিংড়ি ঝরণা পাওয়া যাবে।
. বগালেকে থাকতে পারেন অথবা কেওক্রাডাং চলে যেতে পারেন, কারন কেওক্রাডাং যেতে .৩০/ ঘন্টা লাগবে হাটতে। পথের মাঝে দারজিলিং পাড়া পড়বে, এখানে রেস্ট নিতে পারেন ১৫-২০ মিনিট।
. কেওক্রাডাং গিয়ে থাকতে পারেন, লালার গেস্ট হাউসে, আবার হাটতে হবে দেড় ঘন্টার পথ, নামতেই হবে- শেষের ১৫ মিনিট এর পথটা অনেক রিস্কি, আসলেই অনেক কষ্ট করে নামতে হইসে ৭০-৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে, পা যে ফেলবো সেই যায়গাটুকু নাই, ধরার মত কিছুই নেই, পাশে বিশাল খাঁদ! পড়লে নিজেকে খুজে পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ!! হাঃ হাঃ
. নামতে নামতে ঝরণার আওয়াজ শুনতে পাবেন, নামার কষ্টটা ভুলে যাবেন, জাদিপাই দেখার পর!

ভাল কথা দিনের বেলা জাদিপাই যেতে হবে, রাতে গেলে কিছুই দেখবেন না টর্চ-এর আলোয়
পুনশ্চঃ জাদিপাই/যাদিপাইতে থাকার জায়গা নেই, আবার ফেরত আসতে হবে কেওক্রাডাং লালার রেস্ট হাউসে, মনে রাখবেন স্যালাইন, গ্লুকোজ কিন্তু ২০০% নিতে হবে, আবার খালি পানি নিতেও ভুইলেন না নইলে আপনে শেষ হয়ে যাইবেন! ভাল কথা দিনের বেলা জাদিপাই যেতে হবে, রাতে গেলে কিছুই দেখবেন না টর্চ-এর আলোয়



বিঃ দ্রঃ


বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন
বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন বাস করতো। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। রুপকথার ধরন শুনে মনে হয়, এটা একটা আগ্নেয়গীরির অগ্ন্যুতপাত।

উপজেলা পরিষদের লাগানো সাইনবোর্ডে সরকারী ভাবে এই রহস্যের কথা লেখা। এখনো এর গভীরতা কেউ বলতে পারে না। ইকো মিটারে ১৫০+ পাওয়া গেছে। প্রতিবছর রহস্যময় ভাবে বগা লেকের পানির রঙ কয়েকবার পালটে যায়

যদিও কোন ঝর্না নেই তবুও লেকের পানি চেঞ্জ হলে আশপাশের লেকের পানিও চেঞ্জ হয়। হয়তো আন্ডার গ্রাউন্ড রিভার থাকতে পারে। রহস্য ভেদ হয়নি এখনো
WHAT IS BOGA LAKE & WHY WE GO?

The highest hill-enclaved lake of Bangladesh. 1216 ft above sea level. Neither any stream falls in it, nor any stream goes out. but it never dries up. The villagers have arranged adequate housing and fooding facilities for any number of tourists. adjascent army camp has made this place fully secured. They way to this place through the streams has added great pleasure to the trip to this fascinating place. Realy nice.
P.S. The beautiful Boga Lake in the hill tract district of Bandarban , Chittagong , Bangladesh .
There is a myth about the Boga Lake among the hillmen. A large dragon used to live in a cave in a near by village. It used to feed on domestic animal and even children. Oneday , village people gathered. They trapped the dragon and killed it. It called for a festival. But , Immediately after that , the village caved in deep into the earth. Boga means dragon. The area is one lakh square meter. It is the only source of pure drinking water for the hill people. The most interesting aspect of this lake is that its water changes colour at different times of the day.
( Source : Daily Star weekend magazine , Volume 4 , Issue 3 , Jully 9 , 2004 )