Sunday, January 20, 2013

ঝরণার নামঃ জাদিপাই




Latitude: N21 55.763
Longitude: E92 30.335
জাদিপাই/ যাদিপাই ঝরণাটা কেওক্রাডাং থেকে দেড় থেকে দুই ঘন্টার পথ, শুধুই নামতে হবে, আমার মতে এটা আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝরণা, অনেক ঠান্ডা পানি, ১০ মিনিট ঝরণার পানিতে গোসল করা অনেক কঠিন একটা কাজ, আমি / মিনিটের বেশি টিকতে পারি নাই!!

কিভাবে যাবেনঃ
. ঢাকা থেকে বান্দারবান সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে- হানিফ, শ্যামলি, এস. আলম
. চট্রগ্রাম থেকে যেতে চাইলে বদ্দারহাট টারমিনাল থেকে পুরবী, পুরবানীতে যেতে পারেন

রুটঃ
. বান্দারবান-চান্দের গাড়িতে/ হুইল জিপে করে রুমা বাজার আসতে হবে-নাম এন্ট্রি করে আবার রুমা থেকে বগালেকের ঢালে নামাই দিবে, মনে রাখা ভাল রুমা বাজার থেকে বিকাল ৪টার আগেই নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ।
. বগালেকের (বগালেক নিয়ে বিস্তারিত নিচে দেখুন) ১১৭৬ ফুট উঠার পর আবার নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-, এবার খাওয়া দাওয়া শেষে আবার ট্রেক্কিং করতে হবে, আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাটলেই এই চিংড়ি ঝরণা পাওয়া যাবে।
. বগালেকে থাকতে পারেন অথবা কেওক্রাডাং চলে যেতে পারেন, কারন কেওক্রাডাং যেতে .৩০/ ঘন্টা লাগবে হাটতে। পথের মাঝে দারজিলিং পাড়া পড়বে, এখানে রেস্ট নিতে পারেন ১৫-২০ মিনিট।
. কেওক্রাডাং গিয়ে থাকতে পারেন, লালার গেস্ট হাউসে, আবার হাটতে হবে দেড় ঘন্টার পথ, নামতেই হবে- শেষের ১৫ মিনিট এর পথটা অনেক রিস্কি, আসলেই অনেক কষ্ট করে নামতে হইসে ৭০-৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে, পা যে ফেলবো সেই যায়গাটুকু নাই, ধরার মত কিছুই নেই, পাশে বিশাল খাঁদ! পড়লে নিজেকে খুজে পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ!! হাঃ হাঃ
. নামতে নামতে ঝরণার আওয়াজ শুনতে পাবেন, নামার কষ্টটা ভুলে যাবেন, জাদিপাই দেখার পর!

ভাল কথা দিনের বেলা জাদিপাই যেতে হবে, রাতে গেলে কিছুই দেখবেন না টর্চ-এর আলোয়
পুনশ্চঃ জাদিপাই/যাদিপাইতে থাকার জায়গা নেই, আবার ফেরত আসতে হবে কেওক্রাডাং লালার রেস্ট হাউসে, মনে রাখবেন স্যালাইন, গ্লুকোজ কিন্তু ২০০% নিতে হবে, আবার খালি পানি নিতেও ভুইলেন না নইলে আপনে শেষ হয়ে যাইবেন! ভাল কথা দিনের বেলা জাদিপাই যেতে হবে, রাতে গেলে কিছুই দেখবেন না টর্চ-এর আলোয়



বিঃ দ্রঃ


বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন
বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন বাস করতো। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। রুপকথার ধরন শুনে মনে হয়, এটা একটা আগ্নেয়গীরির অগ্ন্যুতপাত।

উপজেলা পরিষদের লাগানো সাইনবোর্ডে সরকারী ভাবে এই রহস্যের কথা লেখা। এখনো এর গভীরতা কেউ বলতে পারে না। ইকো মিটারে ১৫০+ পাওয়া গেছে। প্রতিবছর রহস্যময় ভাবে বগা লেকের পানির রঙ কয়েকবার পালটে যায়

যদিও কোন ঝর্না নেই তবুও লেকের পানি চেঞ্জ হলে আশপাশের লেকের পানিও চেঞ্জ হয়। হয়তো আন্ডার গ্রাউন্ড রিভার থাকতে পারে। রহস্য ভেদ হয়নি এখনো
WHAT IS BOGA LAKE & WHY WE GO?

The highest hill-enclaved lake of Bangladesh. 1216 ft above sea level. Neither any stream falls in it, nor any stream goes out. but it never dries up. The villagers have arranged adequate housing and fooding facilities for any number of tourists. adjascent army camp has made this place fully secured. They way to this place through the streams has added great pleasure to the trip to this fascinating place. Realy nice.
P.S. The beautiful Boga Lake in the hill tract district of Bandarban , Chittagong , Bangladesh .
There is a myth about the Boga Lake among the hillmen. A large dragon used to live in a cave in a near by village. It used to feed on domestic animal and even children. Oneday , village people gathered. They trapped the dragon and killed it. It called for a festival. But , Immediately after that , the village caved in deep into the earth. Boga means dragon. The area is one lakh square meter. It is the only source of pure drinking water for the hill people. The most interesting aspect of this lake is that its water changes colour at different times of the day.
( Source : Daily Star weekend magazine , Volume 4 , Issue 3 , Jully 9 , 2004 )

No comments:

Post a Comment