Sunday, May 31, 2015

দ্বিতীয়বার সাজেক ভ্রমন সংক্রান্ত কিছু টিপস্

দ্বিতীয়বার সাজেক এবং খাগড়াছড়ি ভ্রমন সংক্রান্ত কিছু টিপস্ এবং ব্যক্তিগত কিছু অভিমত

সাজেক ইউনিয়ন (ইংরেজি: Sajek Union), বাঘাইছড়ি উপজিলার রাঙামাটি জিলায় যার আয়তন: ৪৩,৭৭৬ একর (বর্গ কিলোমিটার)। 


খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে মারিশ্যা রাস্তার উপর দিয়ে কাচালাং পার হয়ে মাচালাং হয়ে রুইলুই পাড়ায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সাজেক ভ্যালীতে আসতে হবে। সাজেকে কি আছে যা নিয়ে এত হাউ কাউ? সাজেকের পাহাড় চূঁড়া থেকে মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সকল ক্লান্তি ও কষ্ট নিমিষেই মিলিয়ে যায়।


. এসি বাস খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে বেশ আগে থেকেই যাওয়া-আসা টিকেট কেটে রাখুন। কারন এসি বাস মাত্র একটাইসেইন্টমার্টিন সার্ভিস এর মাত্র একটি করে বাস প্রতিদিন রাতে যাওয়া-আসা করে৷ এছাড়া আরো আছে শ্যামলী/ইকোনো/সোদিয়া/স্টার লাইন (নন এসি)।

. নিজেদের গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়গ্যাস এর গাড়ি না নেওয়া ভাল৷ কারন গ্যাস চালিত গাড়ি তে উঁচু ঢাল উঠতে বেশ কষ্ট হয়তাছাড়া ওদিকে গ্যাস নাইতেল চালিত গাড়ি তে বেশ আরামেই খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যাওয়া যায়তবে হুইল ছাড়া সাজেক যাওয়া কষ্টকরতবে গাড়ি তে এসি না চালিয়ে আর বিরতি দিয়ে দিয়ে গেলে যাওয়া যাবে৷ অনেকেই গেছে, যাচ্ছে। সো প্রব্লেম হবে না।

. চান্দের গাড়ি তে সাজেক যাওয়াটা নিরাপদতবে ছাদে বসলে সাবধান থাকতে হবে। আর শরীর বেশ ব্যাথা হয়ভাড়া ৫০০০-৭০০০ টাকা নিবেখাগড়াছড়ি এর শাপলা চত্বর থেকেই অনেক চান্দের গাড়ি পাবেন



. সাজেক তেমন কিছুই নাইশুধু যাওয়ার রাস্তাটা জটিল সুন্দর, খাড়া পাকা রাস্তাসাজেকের রুন্ময় রিসোর্ট টা দেখতে ভাল, তবে আহামরি কিছু নয়থাকার ভাড়া অত্যাধিক এবং থেকে আর কিছু দেখার নাই, সাজেক রিসোর্ট তো আরো ব্যয়বহুল, তবে সেনাবিহিনী তে কেউ অফিসার লেভেল এর থাকলে ছাড় পাওয়া যায়এছাড়া আলো রিসোর্ট এবং রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউস থাকা যায়পাহাড়িদের বাসায় থাকলে ২৫০ টাকা প্রতিজনের খরচ আসবে। 

FOR BOOKING PLEASE VISIT: REGIONOFFICERS’ CLUB KHAGRACHARI


. রুইলুই পাড়া আর কংলক পাড়াতে তেমন কিছুই নাই দুটো আদিবাসি পাড়া শুধু মাত্রআগে অনেক কিছু ছিল, এখন নাই। যারা বান্দরবান এর ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় গেছেন তাদের কাছে এগুলা ডাল-ভাতখাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে আসি, পানির সমস্যা আপাতত দূর হয়েছে, ভাত ডাল (১৫০ টাকা) মুরগী (২৫০ টাকা) গরু (৩০০টাকা) খেতে পারবেন রক প্রশান্তি রেস্টুরেন্টে।



. সাজেক এর চেয়ে নিলগিরি (যা বান্দরবনের সবচেয়ে ফালতু জায়গা), নিলাচল  অনেক সুন্দর। 


. সাজেক থেকে ফেরার পথে বাঘাইহাটে নেমে ১৫ মিনিট হেটে ১০ নং হাজাছড়া ঝর্না দেখে আসতে পারেনএটা বেশ সুন্দর


. খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১০কিলো দূরে আলুটিলা গুহা টা চরমভাল লাগবে নিশ্চিৎ


. রিসাং ঝর্না আর অপু ঝর্না দুটোই মুটামুটি ভালতবে ছোট খাট ঝর্নাদেখে ভালোই লাগবে। 


১০.মং রাজার বাড়ি পুরাই ভুয়াতবে হার্টিকালচার পার্ক টা মুটামুটি সুন্দর। 

১১নিউজিল্যান্ড যে জায়গা টাকে বলে ওটাও ফালতুকিছুই নাই। 

১২সবচেয়ে ফালতু সিস্টেম রেস্তোরার খাবার, এটা ওখানে বেশ নাম করা এবং ফেসবুকে বেশ কিছু রিভিউ পড়ে খেতে গেসিলাম, জঘন্য খাবার, সব পাহাড়ি রান্না, বাঁশ রান্নাটাও অতি জঘন্য, সবকিছুতে শুটকি দেয়আর মাংসের দাম ৩০০ টাকা প্লেট!!! এর চেয়ে শাপলা চত্বর এর মনটানা / রাজধানী হোটেল অনেক ভাল।

১৩. খাগড়াছড়িতে থাকার জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা হচ্ছে গিড়ি থাবার, এটা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে আর্মিদের আন্ডারেরেফারেন্স নিয়ে যেতে হয়খুবই চমৎকার জায়গা ছাড়া পর্যটন হোটেলেও থাকতে পারেন

পরিশেষে বলতে পারি,যারা বান্দরবান এর আমিয়াখুম, সাত ভাই খুম, সেন্ডা ভো, রিজুক, কেওক্রাডাং রেমাক্রি, বগালেক, জাদিপাই, নাফাখুম, নিলগিরি, নিলাচল ইত্যাদি জায়গায় গেছেন, তাদের কাছে সাজেক ভাল নাও লাগতে পারেএই সবই আমার ব্যক্তিগত অভিমত৷ তাই নিজেরা গিয়ে দেখেনগিয়ে, ঠেকে ঠেকে তারপর শেখেন


কিছু মতামত দিয়েছেন- নবীন মজুমদার। 

কিন্তু আমার কাছে প্রথমবারের সাজেক যাওয়া আসা, থাকা, খাওয়া, মজা করা, সবার ভালো কো-অপারেশন জাস্ট ওয়াও ছিল। পোস্টটা হল যারা দ্বিতীয়বার সাজেক যাবার প্ল্যান করছেন তাদের জন্যে। 


Here are some Sajek's Resorts/ Cottage owner mobile number! Hope it will help



সাজেক নিয়ে  Hello Tech এর উদ্যোগে একটি এন্ড্রয়েড এপ্স বানানো হয়েছে, চাইলে ডাউনলোড করতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে। 

এপ্স ডাউনলোড লিঙ্কঃ Sajek Tour Guide (সাজেক গাইড)


সাজেক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে এপ্লিকেশনটিতে।
  • কিভাবে যেতে হয়
  • কোন যাতায়াতের ভাড়া কেমন
  • সর্বমোট বাজেট কেমন লাগতে পারে
  • কোথায় থাকার ব্যবস্থা আছে
  • পাহাড়ি মাচায় থাকতে হলে কি করতে হবে
  • ট্যুর গাইডের জন্য
  • রিসোর্ট বুকিং এর জন্য কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে –এই তথ্য গুলো আছে এপ্লিকেশনটিতে।


সাজেক নিয়ে আমার আগের ব্লগ দেখতে পারেন-

এছাড়াও খাগড়াছড়ি নিয়ে ব্লগ দেখে নিতে পারেন-

-খাগড়াছড়ি ভ্রমণ
-আলুটিলাগুহা, খাগড়াছড়ি



So সাজেক এখন আর স্বপ্ন নয়!  

Tuesday, May 26, 2015

চেরাপুঞ্জি, শিলং, মেঘালয় ভ্রমণ

প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিকের ভূগোল বইয়ের একটি সাধারণ প্রশ্ন-পৃথিবীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কোথায়?
উত্তর-ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে। এটুকু পর্যন্ত মোটামুটি সবার জানা। তবে অনেকেই জানেন না এই চেরাপুঞ্জি বাংলাদেশ থেকে কতদূর। ম্যাপ বের করে হিসাব-নিকাশ করে দেখবেন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চেরাপুঞ্জি সোজাসুজি কুড়ি কিলোমিটারেরও কম। বাড়ির পাশেই বিশ্বের বৃষ্টিবহুল এই এলাকা, সেখানে আষাঢ় কিংবা শ্রাবণের বৃষ্টি উপভোগ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

তাই বৃষ্টির মৌসুমে ঘুরে আসুন চেরাপুঞ্জি। সঙ্গে রাখবেন মেঘালয়ের রাজধানী ভারতের অন্যতম পর্যটন শহর শিলং। কেউ কেউ বলেন, দার্জিলিং যদি হয় রূপের রানী তা হলে শিলং হচ্ছে রাজা।
ম্যাপ দেখে দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটারের কম হলেও সীমান্তের যেখানে ইমিগ্রেশন অফিস আছে, সেই তামাবিল থেকে চেরাপুঞ্জি যেতে আপনাকে ঘুরতে হবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ।
আর এটুকু পথ পেরুতে সময় লাগবে অন্তত দুই ঘণ্টা। শিলংয়ের দূরত্ব এর চেয়ে সামান্য বেশি, সময়ও কিঞ্চিত্ বেশি লাগতে পারে। তবে সীমান্ত পার হয়ে যখন পাহাড়চূড়ার আঁকাবাঁকা পথে চলতে থাকবেন তখন মনে হবে এই দূরত্ব আরও বেশি হলেই বোধহয় ভালো ছিল। চলার পথে আপনাকে সঙ্গ দেবে চারপাশের অসাধারণ সুন্দর সব পাহাড়। কখনও আপনাকে চারপাশ থেকে ঢেকে দেবে মেঘ। প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে মনে হবে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়া যাযাবর। কখনওবা পাহাড়ের ঢালে সরু রাস্তার আরেক পাশেই গভীর খাদ। এ এক ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ দৃশ্য।
মেঘালয় ইংরেজী (Meghalaya) উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব দিকে অসম (আসাম) রাজ্য এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র অবস্থিত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং।
মেঘালয় হচ্ছে মেঘেদের বাড়ি। কবিদের অনুপ্রেরনার ও চিত্রকরদের ক্যানভাস। বেড়ানোর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। ২১ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে রাজ্য হিসাবে ঘোষনা হয়। মেঘালয় ছবির মত সুন্দর একটি রাজ্য। ক্যালচার ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ, মেঘের সমাবেশ, জীবনের কিছু রঙ্গিন মুহুত্ব কাটানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা। মেঘালয় সেভেন সিস্টার খ্যাত উত্তর পূর্ব অঞ্চলে অত্যতম একটি সুন্দর রাজ্য। মেঘালয় পাঁচটি প্রশাসনিক জেলায় ভাগ হয়েছে- জয়িন্তা পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম গারো পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম খাসি পাহাড়।
শিলং ইংরেজী (Shillong), উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যেও পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। শিলং বাংলাদেশ -ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভূটান-ভারত সীমান্তের প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি খাসি পাহাড়ে প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
এখানে রয়েছে পাইন অরণ্য, জলপ্রপাত এবং পার্বত্য জলধারার সমারোহ। এক সময় এটি ”প্রাচ্যেও স্কটল্যান্ড’’ নামে পরিচিত ছিল। ১৮৯৭ সালে এক ভূমিকম্পে শহরটি ধবংস হয়ে যায় এবং এরপর এটিকে পুনরায় গড়ে তোলা হয়।
ভারতের স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ পরিবারদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পাহাড়ি রিজর্ট ছিল। এখানে এখনও প্রচুর ব্রিটিশ ধাঁচে নির্মিত কান্ট্রিহাউজ দেখতে পাওয়া যায়। শিলং-এ আশে পাশের এলাকায় উৎপাদিত কমলা, তুলা, আলু ইত্যাদি কেনাবেচা হয়।

এখানে মাইকা, জিপসাম এবং কয়লার মজুদ থাকার সম্ভাবনা আছে, তবে এগুলি এখনও তেমন করে উত্তোলিত হয়নি। এখানে তেমন কোন বড় শিল্পকারখানা নেই। বনাঞ্চল উজাড়ের প্রবণতা বাড়ছে।

ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে শিলং শহরের জনসংখ্যা হল ১৩২,৮৭৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০%, এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%।
পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৮%।
সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে শিলং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।


কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সিলেট, সেখান থেকে বাসে কিংবা সিএনজি স্কুটারে তামাবিল। ভারতের পাহাড়গুলোর ঠিক পাদদেশে বাংলাদেশের এই প্রান্তে সমতলভূমিতে ইমিগ্রেশন-কাস্টম অফিস।

সীমান্ত পার হলেই জায়গাটার নাম ডাউকি। ইমিগ্রেশন-কাস্টমের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ভাড়া করতে হবে ট্যাক্সি। শুরুতে শিলং যাওয়াই ভালো। শিলং শহর আর তার আশপাশের জায়গাগুলো ঘুরে বেড়িয়ে তারপর সেখান থেকেই এক দিনের জন্য চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসা যাবে।
আর যারা শুধু চেরাপুঞ্জি যেতে চান, তারা ডাউকি থেকেই ট্যাক্সি ভাড়া করবেন চেরাপুঞ্জিতে। তবে সেখানে থাকার মতো বেশি হোটেল এখনও গড়ে ওঠেনি, ফলে আগে থেকে হোটেল বুকিং না থাকলে বিপাকে পড়ে শিলং চলে যেতে হতে পারে। শিলঙে ভালো মানের হোটেলের ভাড়া ১৫০০-২০০০ রুপি/দিন।
শিলং শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি থাকার জন্য চমত্কার একটি ব্যবস্থা আছে; নাম চেরাপুঞ্জি হলিডে রিসোর্ট। এটিও আগে থেকে বুকিং দিয়ে যেতে হবে।
পাহাড়ের নির্জনে এই রিসোর্টের আশপাশেও রয়েছে ভ্রমণের অনেকগুলো জায়গা। শিলংয়ে হোটেলে বসেই আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোয় বেড়ানোর জন্য হরেকরকম প্যাকেজ পাবেন। এ ছাড়া চেরাপুঞ্জি বেড়ানোর প্যাকেজও পাবেন এখান থেকেই।

পরিবহন
ভাড়া করা ট্যাক্সিই শিলং ও চেরাপুঞ্জিতে বেড়ানোর সবচেয়ে ভালো বাহন। তবে বড় দল হলে শিলং থেকে বাস ভাড়া করেও চেরাপুঞ্জি বেড়িয়ে আসা যায়। যারা অহরহ কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য এলাকায় বেড়াতে যান তাদের জন্য বলে রাখি, শিলং বা চেরাপুঞ্জিতে থাকা, খাওয়া এবং গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর খরচটা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কিছুটা বেশি। তামাবিল সীমান্তে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার মতো ব্যাংক নেই, এ জন্য বেশ খানিকটা দূরে যেতে হতে পারে। তাই ঢাকা থেকেই ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করে যাওয়া ভালো।

এ ছাড়া সীমান্ত পার হওয়ার পর বেনাপোল কিংবা চেংড়াবান্ধার মতো মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগও খুব সীমিত। এমনকি শিলংয়ের মতো শহরেও ডলার ভাঙানো সহজ নয়, টাকা ভাঙানো প্রায় অসম্ভব। তাই প্রাথমিক ঘোরাফেরার জন্য যতদূর সম্ভব সীমান্ত এলাকাতেই বেশ কিছু ডলার ভাঙিয়ে নিন। এরপর শিলংয়ে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে ডলার ভাঙাতে হবে।

আবহাওয়া
শিলংয়ে সারাবছর মনোরম আবহাওয়া মেলে। তবে মার্চ ও জুন মাস বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ মরসুম। গ্রীেষ্ম হাল্কা উলের পোশাক ও শীতে ভারি গরমজামার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বৃষ্টিপাত এ অঞ্চলে যখন-তখনই হতে পারে। তাই, ছাতা আর বর্ষাতির বেন্দাবস্তও রাখা চাই।

মেলা-পার্বণ
এই অঞ্চলে বিভিন্ন উপজাতির বাস, তাই উৎসবেরও আধিক্য। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীরা মহা সমারোহে পালন করেন বড়দিন, গুড ফ্রাইডে, ইস্টার, ইত্যাদি। ইংরেজি নব বর্ষেও আনন্দমুখর হয়ে ওঠেন পাহাড়িরা। খাসি উপজাতির মানুষ পালন করেন শাদ সুকমিনসিয়েম পরব। কা পমব্ল্যাং নংক্রেম অথবা নংক্রেম নৃত্যও অতি প্রসিদ্ধ খাসি উৎসব। জয়ন্তীয়া উপজাতীয়দের পার্বণ বেহদিয়েংখ্‌লাম পালিত হয় প্রতি বছর জুলাই মাসে। গারোরা পালন করেন ওয়াংগালা উৎসব যা আদতে সূর্যের উপাসনা।


টুকিটাকি
শিলংয়ে খাবার জায়গা দেদার। রকমফেরও অঢেল। বার্গার, পিৎজা, মিল্কশেক, স্যাণ্ডউইচের দোকান রাস্তার মোড়ে হামেশাই পাওয়া যায়। চীনে খাবার ও তিব্বতি মোমো-থুকপাও পাওয়া যায় বেশ কিছু রেস্তরায়। স্থানীয় খাবারের দোকান তেমন না থাকায় খোজ নিতে পারেন ট্যুরিস্ট লজের ক্যান্টিনে। মনে রাখা দরকার, ভারতের এই অংশে সাধারণত আমিষ খাদ্যের প্রচলন আছে। নিরামিষ খাবারের সন্ধান পাওয়া যাবে মারওয়াড়ি ভোজনালয়ে ও শিলংয়ের কিছু বাঙালি রেস্তরায়।

বেড়ানো শেষে কেনাকাটা করতে হলে শিলংয়ের পুলিশ বাজারের দোকানগুলোয় যাওয়া যায়। এখানে দরদাম করাটাই দস্তুর। এ ছাড়া শহরে আছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক শপিং মল। স্থানীয় উপজাতির মানুষের হাতে তৈরি জিনিসপত্রের সম্ভার পাওয়া যায় এখানে।
নানা সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা আছে শিলংয়ে। শিলং ক্লাবের কাছে কাছারি রোড-এর ভারতীয় েস্টট ব্যাঙ্কে পাওয়া যাবে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত তথ্য। অনেক দোকান ও হোটেলেই ক্রেডিট কার্ডে পেনেন্ট করার সুবিধে পাওয়া যায়। 

শিলং শহরে পুলিশের সদর দফতরের ফোন নং: ৯১ ৩৬৪ ২২২৪৪০০/ ১০০।
আরও তথ্য পেতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ‘মেঘালয় পর্যটন দফতরে, ফোন নং: ৯১ ৩৬৪ ২২৬২২০।
তথ্য পাওয়া যাবে ভারতীয় পর্যটন দফতরেও, ফোন নং: ৯১ ৩৬৪ ২২৫৬৩২।



চেরাপুঞ্জির টুকিটাকি
চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে গ্রীেষ্ম তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালে ৩.৯ থেকে ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। উত্তর পূর্ব ভারতের এই প্রান্তে বৃষ্টিপাতের হার বেশি। বর্ষাকাল ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে যে কোনও সময়।

বেড়ানোর ভাল সময় ২টো- নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস ট্রেকিং, প্রকৃতি বীক্ষণ, ইত্যাদির জন্য আদর্শ। বৃষ্টির পূর্ণ রূপ দেখতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মাসে আসা উচিত।
চেরাপুঞ্জি মানেই বৃষ্টি। ঘরের জানলা দিয়ে অবিশ্রান্ত ধারা দেখতে ভাল লাগলেও বাইরে বের হলে দরকার পড়তে পারে ছাতা, বর্ষাতি ও রবারের জুতো। রওনা হওয়ার আগে সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যাথা ও সাধারণ পেটের অসুখের ওষুধ সঙ্গে রাখা উচিত হবে। পানীয় জল পরিশ্রুত করতে জিওলিন জাতীয় পিউরিফায়ার হাতের কাছে রাখুন।
মেঘালয়ে সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা খাসিয়া। পরদেশিদের সঙ্গে অবশ্য হিন্দি-ইংরেজি মেশানো এক মিশ্র ভাষায় এরা কথা বলেন।

Sunday, May 24, 2015

স্বপ্নের সাজেকে দ্বিতীয়বার



সাজেক নিয়ে আমি গত ২/৩ বছর অনেক পড়েছি, অনেক জেনেছি, অনেক ভেবেছি, অনেক স্বপ্ন দেখেছি, অনেক যেতে চেয়েছি, অনেকবার ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও যাওয়া হয়নি, আবার কয়েকবার যাবার প্ল্যান করার পর গ্রুপ মেম্বারের অভাবে সেটা স্বপ্নেই থেকে গিয়েছিল।

একটা সময় খুব একা ফিল করতাম, হতাশ ছিলাম, আর সাজেকের গল্প পড়তাম ব্লগে, পেপারে, বইয়ে। সেখানকার জীবনযাত্রা জেনে গিয়েছিলাম আরো দুই বছর আগেই। লুসাই পাংখোয়া জাতির কথা মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। চাকরি ছেড়ে একটা সময় সাজেকে পালিয়ে হতাশা থেকে বাচঁতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাজেক আমার দেখা হয়নি সে সময়।

কথাগুলো আমার প্রথমবার সাজেক ভ্রমনের পরে ব্লগে লিখা। আজ আবার ব্লগখানা বের করে দেখি এবার এটা নিয়ে আরেকটু বাড়িয়ে লিখা দরকার। আসলে ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও এখন কোথাও যাওয়া হয় না, গেলেও অনেক বাধা আসায় ট্রাভেলের ইচ্ছেটা দিন দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু যার মাথায় ট্রাভেলের পোকা থাকে সেটা মনে হয় আর বের হয় না হবেও না, মাথার এক কোনার নিউরনে থেকেই যাবে।

সাজেক নিয়ে এবার লিখার আগে আপনাদের কিছু প্রশ্ন করবো দেখি পারেন কিনা?

সাজেক কোথায় অবস্থিত?
  •     বান্দরবন থানছিতে
  •     রাঙ্গামাটির রুইলুইতে
  •     খাগড়াছড়ির দিঘিনালায়
  •     ইন্ডিয়ার মিজোরামে
Click: Riffat Shahriar


বাংলাদেশের কোন যায়গায় গ্রীষ্ম, শীত, বর্ষা একসাথে/একইদিনে পাওয়া যায়?
  •      নোয়াখালী
  •      ফেনী
  •      সাজেক
  •      শ্রীমঙ্গল
  •      ঢাকা
Click: Riffat Shahriar


সাজেকে কারা বসবাস করে?
  •      চাকমা
  •      ত্রিপুরা
  •      পাংখুয়া
  •      লুসাই
  •      আপনি আর আমি
  •      আর্মি/পুলিশ/বিজিবি
Click: Riffat Shahriar


সাজেক দেখে আপনার কোন দেশের মত মনে হবে?
  •      নেদারল্যান্ড
  •      ভারত
  •      নেপাল
  •      ভূটান
  •      কোলকাতা
Click: Riffat Shahriar


সাজেকে কোথায় থাকবেন?
  • রক-সাজেক রিসোর্ট/ রুন্ময় রিসোর্ট/ আলো রিসোর্ট
  • পাহাড়িদের বাড়িতে
  • হোটেল সাজেক ওয়েস্টিন
  • সাজেক রিজেন্সি হোটেল
  • মোটেল রেডিসন-সাজেক
Click: Riffat Shahriar


সাজেকে কি শস্য পাওয়া যায়?
  •     গ্লোরিয়া জিন্স/কফি ওয়ার্ল্ড-এর কফি
  •     সিলেটের ৭ লেয়ারের চা/চা পাতা
  •     আলু
  •     হলুদ
  •     তরমুজ
Click: Riffat Shahriar


কি? কয়টা পারবেন? আশা করি উত্তরগুলো জানাতে হলে আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে অথবা আগের ব্লগগুলো আপনাকে পড়তে হবে।

দ্বিতীয়বারের মত সাজেক দেখে সাজেকের ষোলকলা পূর্ন হবার কথা বলি।

খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে মারিশ্যা রাস্তার উপর দিয়ে কাচালাং পার হয়ে মাচালাং হয়ে রুইলুই পাড়ায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সাজেক ভ্যালীতে আসতে হবে। সাজেকের জন্যে এবার ১২ জনের গ্রুপ নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে খাগড়াছড়ি পোছাইলাম ৯.৩০-এ, নাস্তা সেরে একটা বাটপার ড্রাইভারকে নিয়ে রওনা দিলাম, ৭,০০০ টাকা যাওয়া আসা চুক্তিতে।

বলে রাখা ভালো, আগের মত এখন আর ড্রাইভাররা ভালো না, দালাল হয়ে গেছে, বাঙ্গালী দেখলেই বোকা বানাইতে চায়, ১০-১৫ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া চেয়ে বসবে, চিন্তাও করতে পারবেন না। আর সাজেকে ড্রাইভারের খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব আপনি নিবেন না। সেটা শুরুতেই ভেঙ্গে নিবেন।

আর কংলাক/কমলক (সাজেকের উচ্চতম পাড়ার নাম কংলাক পাড়া (কমলক), আসার পথে অনেক কমলা বাগান আছে। কমলক রাঙামাটি জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় সিপ্পুতে অবস্থিত। সেখানকার উপজাতিরা পাঙ্কু সম্প্রদায়, অধিকাংশই শিক্ষিত এবং পোশাকে সেই রকম আধুনিক। কাংলাক থেকে আর সামনে না যাওয়াই ভালো কারন  অপহরণের আশংকা রয়েছে। এখানে কফির চাষও হয়।) যাবেন সেটা আগেই ভেঙ্গে নিবেন।

অবশেষে পৌঁছে যাই স্বপ্নের সাজেক। সাজেকের পাহাড় চূঁড়া থেকে মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সকল ক্লান্তি ও কষ্ট নিমিষেই স্লান হয়ে যায়। প্রকৃতির এতো সুন্দর রূপ আগে কখনও দেখিনি। সাজেকের এই প্রাকৃতিক রূপের সাথে পাংখোয়া ও লুসাই আদিবাসীদের বৈচিত্রময় জীবন যাত্রা দেখে আরও বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যাই। উঁচু মাচার ঘরে গাছের গুড়ি কেঁটে বানানো সিঁড়ি, ঘরের ছাউনী বাঁশের পাতার। ঘরের সামনে ফুলের বাগান, মাঝে মাঝেই ক্যাকটাস ও অর্কিড শোভা পাচ্ছে রুইলুই গ্রামটি। ঢালুতে ২/৩ শত বছরের পুরোনো বিশাল বিশাল গাছ। বাড়ির অদূরেই অসংখ্য কমলা বানান। এরই মাঝে চোঁখে পড়ে অসংখ্য ঔষুধী গাছ-গাছড়া। একে বারে ঢালুতে যেদিন তাকাই সেদিকই লক্ষ কোটি বাঁশ আর বাঁশ। সেই ঘর থেকে একে একে বেড়িয়ে আসছে আদিবাসীরা। কেউ পানি আনতে, কেউ বা জুম ক্ষেতে উৎপাদিত ফসল আনতে ব্যস্ত তারা। পরনে তাদের জিন্সের প্যান্ট, গায়ে হাতা কাঁটা সট গেঞ্জি, ব্রা, শার্ট, স্টাট ইত্যাদি। লাবন্যময়ী রূপসী মেয়েদের দেখে মনে হয়েছে বোম্বের কোন নায়িকা এখানে শুটিং-এ এসেছে। পোষাক দেখে মনে হয়েছে এ যেন বাংলাদেশের ভেতর এক খন্ড ইউরোপ।

বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি এক পর্যায়ে জানাগেল তাদের ধর্ম খৃষ্টান। মিজো ভাষায় তারা কথা বললেও ইংরেজি তাদের অক্ষর ইংরেজী। লুসাই ও পাংখোয়া আদিবাসীরা বাংলা ভাষার চেয়ে ইংরেজিতে কথা বলতেই বেশি পছন্দ করে। এসকল ভিন্ন জীবন ধারার সাথে পার্বত্য এলাকার অনেক উপজাতিই পরিচিত নয়।
এসব আমি আগেও বলেছি এবার আবারো বললাম।

সাজেকে সিকিউরিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হাস্যকর, যেখানে ১টা আর্মি ক্যাম্প, ১টা বিজিবি ক্যাম্প, ১টা পুলিশের ক্যাম্প অবস্থিত যাকে সাজেক বিওপি বলে। আমার ছবিতে একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে ১জন বিজিবি সদস্য হেটে যাচ্ছে। আর পুরা এলাকাই আর্মির সিকিউরিটির আন্ডারে। আর সাজেকে আসার আগে ২টা আর্মির ক্যাম্পে রিপোর্ট করে আসা লাগে। রুইলুই পাড়ায় কে ঢুকে কে বের হয় সব রেজিস্টারে লিখা হয়। আমি যেখানে ছিলাম সেই রুমের দরজার কোন তালাও ছিল না, পাহাড়ি কেউ এই এলাকায় চুরি চামারীও করে না। সবাই আর্মিকে যমের মত ভয় পায়, গেম অফ থ্রোন্সের একটা ভাব আছে।



Click: Riffat Shahriar


আর ঢাকায় যেখানে ৩৬/৩৭ ডিগ্রি গরম পড়েছে সেখানে সাজেকে রাতে আমরা ঠান্ডার কারনে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমিয়েছি। আর বিকালে যে ঝড় তুফান হল আর এর পর যে পাহাড়ি ঢল, অনেকদিন এমন ঝড়ে পড়িনাই/দেখিনাই। শেষে এক আর্মির গাড়িতে করে আমাদের রুন্ময়ের সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়। এক একটা বৃষ্টির ফোটা গায়ে পড়ছিল আর মনে হচ্ছিল কে জানি আমার গায়ে আলপিন দিয়ে গুতা দিচ্ছে।

৩০ মিনিটের বৃষ্টির পর যে মেঘ দেখলাম চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যাচ্ছে , মনে হচ্ছিলো যাহ এসব কি দেখি? সত্য কি আমি দেখলাম? সাথে থাকা বন্ধুকে বললাম বেটা টর্চ মার তো দেখি কি যায় সাদা সাদা। চোখের সামনে ১ কিলোমিটার দূরে সাজেক রিসোর্ট দেখলাম মেঘে ঢেকে গেলো। রিসোর্টের ভিতরের আলো আবছা দেখা যায়। হেলিপ্যাডে যেতে যেতে মেঘ নামক হাল্কা স্তরের কুয়াশা আর দেখা গেল না। পরদিন আবার যে রোদ পড়লো আমার ২ পায়ের নিচের দিক আর ২ হাত রোদে একদম পুড়ে গেল, সেই পোড়া হাতের জ্বালা নিয়েই লিখছি এখন।
যাক শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মত সাজেক দেখে সাজেকের ষোলকলা পূর্ন হল এবার। সব দেখেছি একদম সব। 

ঢাকায় চলে এসেছি নিয়ে এসেছি সাজেকের অনেক ছবি।

ছবি এবার দিবো পরে, এবার আর বেশি ছবি দেখাবো না, নিজের চোখে দেখে আসুন, আশা করি ভালো লাগবে। প্রথমবার সাজেক ঘুরে আসার পর আগের ব্লগে কথা দিয়েছিলাম আবার যাবো সাজেক, হুম আমি কথা রেখেছি।  
আজ আবার কথা দিচ্ছি আবার যাবো। তবে আশা করি পরের বার নিজের ফ্যামিলি নিয়ে যাবো।


Click: Riffat Shahriar


সাজেক নিয়ে আমার আগের ব্লগ দেখতে পারেন-

-স্বপ্নের সাজেকে একদিন

এছাড়াও খাগড়াছড়ি নিয়ে ব্লগ দেখে নিতে পারেন-
-খাগড়াছড়ি ভ্রমণ
-আলুটিলাগুহা, খাগড়াছড়ি

সাজেক এখন আর স্বপ্ন নয়!  

সাজেক নিয়ে  Hello Tech এর উদ্যোগে একটি এন্ড্রয়েড এপ্স বানানো হয়েছে, চাইলে ডাউনলোড করতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে। 


এপ্স ডাউনলোড লিঙ্কঃ Sajek Tour Guide (সাজেক গাইড)



সাজেক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে এপ্লিকেশনটিতে।
  • কিভাবে যেতে হয়
  • কোন যাতায়াতের ভাড়া কেমন
  • সর্বমোট বাজেট কেমন লাগতে পারে
  • কোথায় থাকার ব্যবস্থা আছে
  • পাহাড়ি মাচায় থাকতে হলে কি করতে হবে
  • ট্যুর গাইডের জন্য
  • রিসোর্ট বুকিং এর জন্য কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে –এই তথ্য গুলো আছে এপ্লিকেশনটিতে।