Wednesday, September 4, 2013

ডে লং টুর এট মানিকগঞ্জ

.
মানিকগঞ্জ যাব যাব করে যাওয়াই হচ্ছিল না সেই ২০১০ সালের পর, ২০১০- আইইউবির এলএফই (LFE-Life in Field Experience) করে মানিকগঞ্জ সম্পর্কে যে ধারনা ছিল তা হল- এই এলাকার খাবার দাবার খুব সস্তা, খাবারে ভেজাল কিছু নাই, একেবারে মাঠ থেকে শাক-সবজী উঠিয়ে রান্না করলে যেই স্বাদ সেইটাই পেয়েছিলাম। আর প্রশিকার রেস্ট হাউজে থাকতাম কইট্টাতে (কইট্টা হল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার একটা গ্রাম) খাবারের বেলায় একটু কিপটামি করসিল সেই সময়। তাই বাইরের খাবারের সম্পর্কে সেই সময় বেশী ধারনা পাই নাই। কিন্তু ২০১০ সালের ১২ দিনের জন্য এলএফই ছিল অন্যরকম একটা অনুভুতি। জিসান স্যার, কুতুবি ম্যাডাম, লতিফুল স্যারদের আন্তরিকতা আজও মনে পড়ে। অনেক স্মৃতি আছে, যা লিখে প্রকাশ করার মত না, মনিটরের মাঝে তপু ভাই, ফাহমি, আর জোকার তমাল ছিল অসাম। আর আমার রুমমেট? হাহা না বললেই নয়-ফসু আর তুশান। শয়তানি বানদ্রামি কম করি নাই মিসিং অল সামার১০ এলএফই মেম্বারস। সেইসব কাহিনী আগে লিখা লিখি করেছি ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সেই ১২ দিনের কাহিনী লিখতে বসলে লিখে আজ আর শেষ করা যাবে না সংক্ষেপে তাই আজ বললাম। মানিকগঞ্জ গেলে আজীবন এলএফইয়ের কথা মনে পড়বেই












.
আবার সেই আধাচেনা মানিকগঞ্জ গেলাম ০৪/০৯/২০১৩, বুধবার অনি, জিথিয়া, আর রানাকে নিয়ে। সকাল সাড়ে সাতটায় বৈশাখী বাস কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠলাম নতুন বাজার থেকে, আগের রাতে আমি ঘুমাইছি .৩০- সারারাত মুভি দেখে মাদ্রাজ ক্যাফে, তাই মাত্র ঘন্টা ঘুমিয়েই .৩০- উঠেই দৌড়। সবাই বাসে উঠে আলাপ সালাপ করতে করতে গাবতলি এসে গেলাম .৩০, নাস্তা খেয়ে মানিকগঞ্জের বাসে উঠেই আব্বুর অফিস থেকে ফোন বার বার- কই তোরা, কতক্ষন লাগবে, কোন বাস? আবার কতক্ষন পর পর একই কথা -কই তোরা, কতক্ষন লাগবে, এখন কই? আমার আব্বা এরকমই
সাটুরিয়া গোলরাতে নেমেই গাড়ীর মালিকের ফোন আংকেল গোলরা নামলেই আমার গাড়ী পাবেন, ড্রাইভারকে বলা আছে যাই হউক গাড়ী নিয়ে একটু টেনশনে ছিলাম পাবো কিনা, বাট লাস্টে পেয়ে হাফ ছেড়ে বাচলাম নইলে ঢাকা কেমনে আসতাম তা জানি না!! এরপর গাড়ী নিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা কার্যালয় গেলাম, গিয়ে আব্বার সুবাদে চা-নাস্তা খাইলাম সবাই আমরা। তারপরই আমাদের আসল যাত্রা শুরু!




বালিয়াটি নিয়ে পড়ুন-
মানিকগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির ইতিহাসে বালিয়াটির জমিদারদের অবদান উল্লেখ যোগ্য। বালিয়াটির জমিদারেরা ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে আরম্ভ করে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বছর বহুকীর্তি রেখে গেছেন যা জেলার পুরাকীর্তিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বালিয়াটির পাঠান বাড়ীর জমিদার নিত্যানন্দ রায় চৌধুরীর দুছেলে বৃন্দাবন চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং জগন্নাথ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে বালিয়াটির নাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। মূলত ৫টি স্বতন্ত্র ব্লক নিয়ে গড়ে উঠলেও এই জমিদার বাড়ি বা প্রাসাদের সবগুলো ভবন একই সময়ে নির্মিত হয়নি। বরং বালিয়াটি জমিদার বাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্য উনবিংশ শতকের মধ্য ভাগ থেকে বিংশ শতকের প্রথম ভাগের বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে এটি নির্মাণ করেন যার গোড়াপত্তন করেছিলেন গোবিন্দ রাম
১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি একজন লবণের বণিক ছিলেন। এই পরিবারের উত্তরপুরুষদের মধ্যে কিশোরীলাল রায় চৌধুরী এবং রায় বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী তৎকালীন শিক্ষাখাতে তাদের অবদানের জন্য প্রখ্যাত ছিলেন। বালিয়াতি প্রাসাদটির নির্মাণ ঢঙে ঊনিশ শতকের রেনেসাঁ প্রভাবের ছাপ সুস্পষ্ট। এই বিশাল প্রাসাদটি ২০ একরের চেয়ে বেশি স্থানজুড়ে অবস্থিত। আসলে এই প্রাসাদটি একই রকম দেখতে কিন্তু ৫টি স্বতন্ত্র ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল যার মধ্যে একেবারে পূর্বদিকের ব্লকটি ছাড়া বাকি ৪টি ব্লক এখনও বিদ্যমান। এর মধ্যে মাঝের দুইটি ব্লকের একটি দ্বিতল এবং অন্যটি টানা বারান্দা ত্রিতল বিশিষ্ট। প্রাসাদের ৪টি ব্লকের পেছনের দিকে আলাদা করে ৪টি আলাদা অভ্যন্তরীণ ভবন বা অন্দরমহল রয়েছে
অন্যদিকে, উত্তরে কিছুটা দূরে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনটি ছিল কাঠের কারুকাজ সম্পন্ন বাহিরমহল। মূলত প্রাসাদের ভৃত্যদের থাকার জায়গা, গাড়ি রাখা বা ঘোড়াশাল হিসেবেই এটি ব্যবহৃত হতো বলে ধারণা করা হয়। ছাড়া বিশাল প্রাসাদটিতে উঁচু দেয়ালের বেষ্টনী এবং অর্ধবৃত্তাকার খিলান আকৃতির সিংহ খোদাই করা ৩টি তোরণাকৃতির প্রবেশ পথ রয়েছে
বালিয়াটিতে আজও দুবেলা রাধা বল্লব পূজো হচ্ছে। বালিয়াটিতে ১৯২৩ সালের দিকে জমিদার কিশোরী রায় চৌধুরী নিজ ব্যয়ে একটি এলোপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরী সাটুরিয়া থেকে বালিয়াটির প্রবেশ পথের পাশে কাউন্নারা গ্রামে একটি বাগানবাড়ী নির্মাণ করেন যেটা সাটুরিয়া উপজেলা কার্যালয় বলে পরিচিত এখন এবং সেখানে দিঘির মাঝখানে একটি প্রমোদ ভবন গড়ে তোলেন যেখানে সুন্দরী নর্তকী বা প্রমোদ বালাদের নাচগান পান চলতো। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদের রক্ষনাবেক্ষণ করছে
বালিয়াটিতে অনেক ফটো তুলার পর, (অনির মেইনলি মানিকগঞ্জ যাওয়া বালিয়াটিতে ফটো তুলার জন্যে। তারপরও জানি না কতটূকূ মনের মত তুলতে পারছে , সেই জানে।কমেন্ট আশা করবো)




পথের মাঝে আব্বু আমাকে ফোনে বলে দুপুরে কই খাবি তোরা? আমি বলি আমরা তো কোথাও গেলে বাইরেই খাই, আমার আব্বা তো আর জানে না যে আমরা বগালেক গিয়া পাহাড়ী জুমের ভাত-ডাল ডিম খাইছিলাম, বাপের কাছে একটু পার্ট নিতে গেছিলাম তাই আব্বার কাছে আবারো বোকা হইলাম!! কয় আইচ্ছা খাইও।
বালিয়াটি গিয়া শুনলাম আমাদের জন্য রান্না হইছে আব্বার বাসায়, যাইতে বলছে-ফোন দিল আরেক আংকেল, আহা আমাদের আর পায় কে?
রানাকে কইতেছিলাম- বাসায় গিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া দরকার ফিলিং জমিদার এট বালিয়াটী!!






ফিরার পথে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো অনি তার সানগ্লাসটা হারাইছে
দুপুর ৩টার দিকে আব্বার বাসা বাদশা ভবন- (আনকমন একটা নাম-বাসায় আমি আম্মু আর রথী এই নাম নিয়ে অনেক হাসা হাসি করি, আব্বু কিন্তু জানে না) এসে হাত মুখ ধুয়ে খানা পিনা দিলাম সেইরাম! রুই মাছ ভাজা, মুরগি, মুগ ডাল মাছের মাথা দিয়ে ভাত আর কে পায় আমাগো? খাবারের কথা কি আর ভুলা যায়? খাইয়া তো আব্বার বিছানায় সবাই সুইয়া গা এলাইয়া কয় ঘুম দিলাম! হাহা
তার আগে তো সাটূরিইয়াতে যে দই খাইলাম আর মিষ্টী খাইলাম লাইফে মনে হয় কোনদিন ভুলবোনা, মারাত্বক ছিল, এরকম দই আর দই এর উপর যে সর বসছে খেয়ে অনেক শান্তি পাইছি সবাই, যে চা খাইছিলাম গরুর দুধের চা। সেইরাম মজা






বিকালে মানিকগঞ্জের পদ্মার পাড়ে গেলাম জীবনে প্রথম, ছোটকালে লংগদু রাঙ্গামাটিতে থাকা অবস্থায় নদীর পাড়ে নাকি যাওয়া হত আমাকে কোলে নিয়ে, সেই সময় বুঝ হয়নি বলে পাড় কোনদিন এভাবে নেমে দেখা হয়নি আবার এক পাড় থেকে আরেক পাড় নৌকা দিয়ে পারাপার- ফিলিংসটা অন্যরকম। আরেক পাড় হল কিন্তু চর-চরের নাম আন্ধার মানিক, চরে গিয়ে আরেকটা বাগান বাড়ী দেখলাম, সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছিলো দেখে আবার পাড়ের কাছে আসলাম নৌকা দিয়ে পারাপার হবার জন্যে, আর সেই সময় আকাশ কালো হয়ে যে বৃষ্টি নামার লক্ষন দেখা দিলো মাঝ নদীতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম একটা সময়, যাক বৃষ্টি নামার আগেই গাড়ীতে উঠতে পারছিলাম নইলে কাঁকভেজা হয়ে ঢাকা আসতে হত সবাইকে




রাতারগুলে সিলেটে অবশ্য নৌকা ভ্রমন ছিল প্রায় ঘন্টার, ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে রাতারগুল সেটা গেলে বুঝবেন আপনি, আমি বুঝিয়ে বলতে পারবোনা সেই ফিলিংসটা
সব ছবির ক্রেডিট অনির কাছে যাবে
জানি না ট্যুরটা বাকি সবার কাছে কেমন লেগেছে, আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, সবাইকে থ্যাংস না দিয়ে পারতেসিনা
জিথিয়াকে শীতকালে আবার যেতে বলব-সরিষার মাঠে তুঝে দেখা তুই ইয়ে জানা সানাম মার্কা একটা ছবি তুলার জন্যে। আর অনি সরিষার মাঠে তোমাদের ছবি তুলার জন্যে আমাকে তো ফটোগ্রাফার হইতেই হবে তাই নয় কি?

আর শত ব্যস্ততার মাঝে রানাকে পেয়ে অনেকদিন পর সবারই ভালো লাগছে, নইলে জমতো না!!
.
এক নজরে মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৫ সালের মে মাসে। মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রথমে ফরিদপুর জেলার (১৮১১ সালে সৃষ্ট) অধীন ছিল। প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন কল্পে ১৮৫৬ সালে মানিকগঞ্জ মহকুমাকে ফরিদপুর জেলা থেকে ঢাকা জেলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ০১ মার্চ ১৯৮৪ সালে মানিকগঞ্জ কে জেলায় উন্নীত করা হয়
আয়তনঃ ১৩৭৮.৯৯ বর্গ কিঃমিঃ
মানিকগঞ্জের প্রধান টি নদী-
পদ্মা
যমুনা
ধলেশ্বরী
ইছামতি
কালিগঙ্গা
দর্শনীয় স্থানঃ
সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি প্রাসাদ বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, শিবালয়ে তেওতা জমিদার বাড়ী নবরত্ন মঠ, সদর উপজেলায় কবিরাজ বাড়ী, সিংগাইর রফিক নগরে শহীদ রফিক জাদুঘর, হরিরামপুর ঝিটকায় পোদ্দার বাড়ী যাত্রাপুরে স্বপ্নপুরী
মানিকগঞ্জের পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা-
বালিয়াটি প্রাসাদ, সাটুরিয়া
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ থেকে সড়ক পথে বাসযোগে যাওয়া যায়্। মানিকগঞ্জ হতে দূরত্ব ১৮ কিঃ মিঃ। বাসভাড়া ১৫/- টাকা। রাত্রিযাপনের কোন ব্যবস্থা নেই
তেওতা জমিদার বাড়ী, শিবালয়
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ থেকে সড়ক পথে বাসযোগে শিবালয় যেতে হয়। দুরত্ব ২২ কি:মি: বাসভাড়া ১৫/- টাকা। সেখান থেকে টেম্পু /রিক্সাযোগে যাওয়া যায়্। দূরত্ব কিঃমিঃ। টেম্পুভাড়া ১৫/- টাকা। রিক্সাভাড়া ৪০/- টাকা। রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা নেই
তেওতা নবরত্ন মঠ, শিবালয়
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ থেকে সড়ক পথে বাসযোগে শিবালয় যেতে হয়। দূরত্ব ২২ কিঃমিঃ। বাসভাড়া ১৫/- টাকা। সেখান থেকে টেম্পু /রিক্সাযোগে যাওয়া যায়্। দূরত্ব কিঃমিঃ। টেম্পু ভাড়া ১৫/- টাকা। রিক্সাভাড়া ৪০/- টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই
মানিকগঞ্জের মত্তের মঠ
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ শহর থেকে রিক্সাযোগে/পদব্রজে যেতে হয়। দূরত্ব কিঃমিঃ। রিক্সাভাড়া ২০/২৫ টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই
রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ থেকে সড়ক পথে বাসযোগে যাওয়া যায়। দূরত্ব ১৮ কিঃমিঃ। ভাড়া ১৫/- টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই
শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দির
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ শহর থেকে রিক্সাযোগে/পদব্রজে যেতে হয়। দূরত্ব কিঃমিঃ। রিক্সাভাড়া ২০/- টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই
মানিকগঞ্জের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ী
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ শহরে অবস্থিত। দূরত্ব কিঃমিঃ। রিক্সাভাড়া ২০/২৫ টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই
মানিকগঞ্জের গৌরাঙ্গ মঠ
যাতায়াত ব্যবস্থাঃমানিকগঞ্জ থেকে সড়ক পথে বাসযোগে যাওয়া যায়্। দূরত্ব ১৮ কিঃমিঃ। ভাড়া ১৫/- টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই
মাচাইন গ্রামের ঐতিহাসিক মাজার পুরোনো মসজিদ
যাতায়াত ব্যবস্থাঃমানিকগঞ্জ থেকে সড়ক পথে বাসযোগে টেপড়া যেতে হয়। দুরত্ব ১৫ কিঃমিঃ। ভাড়া ১০/- টাকা।সেখান থেকে টেম্পু /রিক্সাযোগে যাওয়া যায়। দূরত্ব কিঃমিঃ। টেম্পুভাড়া ১৫/- টাকা। রিক্সাভাড়া ৫০/- টাকা