Thursday, July 16, 2015

লালাখাল, সিলেট


মেঘালয় পর্বত শ্রেনীর সবচেয়ে পুর্বের অংশ জৈন্তিয়া হিলসের ঠিক নীচে পাহাড়, প্রাকৃতিক বন, চা বাগান ও নদীঘেরা একটি গ্রাম লালাখাল, সিলেট জেলার জৈন্তিয়াপুর উপজেলায়। জৈন্তিয়া হিলসের ভারতীয় অংশ থেকে মাইন্ডু ( Myntdu) নদী লালাখালের সীমান্তের কাছেই সারী নদী নামে প্রবেশ করেছে এবং ভাটির দিকে সারীঘাট পেরিয়ে গোয়াইন নদীর সাথে মিশেছে। লালাখাল থেকে সারীঘাট পর্যন্ত নদীর বারো কিমি পানির রঙ পান্না সবুজ- পুরো শীতকাল এবং অন্যান্য সময় বৃষ্টি না হলে এই রঙ থাকে। মুলতঃ জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবাহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং কাদার পরিবর্তে নদীর বালুময় তলদেশের কারনেই এই নদীর পানির রঙ এরকম দেখায়। 

সিলেট জাফলং মহাসড়কে শহর থেকে প্রায় ৪২ কিমি দূরে সারীঘাট। সারীঘাট থেকে সাধারনতঃ নৌকা নিয়ে পর্যটকরা লালাখাল যান। স্থানীয় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় একঘন্টা পনেরো মিনিটের মতো সময় লাগে সারী নদীর উৎসমুখ পর্যন্ত যেতে। নদীর পানির পান্না সবুজ রঙ আর দুইপাশের পাহাড় সারির ছায়া- পর্যটকদের মুগ্ধ করে। উৎসমুখের কাছাকাছিই রয়েছে লালাখাল চা বাগান। 

সারীঘাটে নাজিমগড় রিসোর্টসের একটি বোট স্টেশন আছে। এখান থেকে ও বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে লালাখাল যাওয়া যায়। লালাখালে সারী নদীর তীরে নাজিমগড়ের একটি মনোরম রেস্টুরেন্ট রয়েছে- ‘রিভার কুইন’ । সব অতিথিদের জন্যই এটি উন্মুক্ত। রিভারকুইন রেস্টুরেন্টের পাশেই রয়েছে ‘এডভেঞ্চার টেন্ট ক্যাম্প ‘ । এডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা এখানে রাত্রিযাপন করতে পারেন। নদীপেরিয়ে লালাখাল চা বাগানের ভেতর দিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা হাঁটার পথ ( ট্রেকিং ট্রেইল) 

এ ছাড়া পেছনে পাহাড়ের ঢাল ও চুঁড়োয় গড়ে উঠেছে নাজিমগড়ের বিলাসবহুল নতুন রিসোর্ট ‘ওয়াইল্ডারনেস’। আবাসিক অতিথি ছাড়া এখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। 

সরাসরি গাড়ী নিয়ে ও লালাখাল যাওয়া যায়। সারী ব্রীজ় পেরিয়ে একটু সামনেই রাস্তার মাঝখানে একটি পুরনো স্থাপনা।এটি ছিলো জৈন্তিয়া রাজ্যের রাজকুমারী ইরাবতীর নামে একটি পান্থশালা। এর পাশ দিয়ে হাতের ডানের রাস্তায় ঢুকে সাত কিমি গেলেই লালাখাল। লালাখাল এ রিভার কুইন রেস্টুরেন্ট এর সামনে থেকে ও নৌকা নিয়ে জিরোপয়েন্ট ঘুরে আসা যায়। 

সিলেট শহর থেকে লালাখাল পর্যন্ত ৬-৮ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৩৫০০ - ৪০০০ টাকার মধ্যে। ৯-১২ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৪৫০০ - ৫,৫০০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার হলে আরেকটু বেশী ও হতে পারে। 

সারীঘাট থেকে স্থানীয় নৌকা নিয়ে লালাখাল যেতে খরচ পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকার মতো খরচ পড়ে। আর নাজিমগড় বোট স্টেশনের বিশেষায়িত নৌকাগুলোর ভাড়া ২০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত। গাড়ী নিয়ে লালাখাল চলে গেলে রিভারকুইন রেস্টুরেন্ট থেকে আধাঘন্টার জন্য নৌকা ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকা। দুপুরের খাবার প্রতিজন ৪০০-৫০০ টাকা।


Lalakhal,which is another top tourist attraction in Jaintapur Upazilla, is covered with hills, natural forests, tea gardens, and rivers under the Jainta Hill which comprises part of the Meghalaya Ranges of India. Flowing from the Indian part, the river Myntdu enters Lalakhal as the Saree and meets the river Guaiyan after passing Sarighat. Over a stretch of nearly 12 km of the river from Lalakhal to Sarighat, the colour of the water stays transparent green in winter (as well as in other seasons when it does not rain) due to the minerals flowing with water and the sandy river bed.

A tourist can experience green water river, Range of mountain and Tea Garden- at once in Lalakhal.
At the eastern bank of river Saree, there is the ‘Lalakhal Tea Garden’. 

A tourist can experience green water river, Range of mountain and Tea Garden- at once in Lalakhal.

How to go there?

Tourists usually travel to Sarighat, which is 42 km away from Sylhet city centre, by road and then hire a boat to reach Lalakhal. The one-and-a-quarter hour (mechanised-) boat ride over this crystal green water with lush green hills on both sides of the river is a soothing sight for any nature lovers. 

There is a boat station in Sarighat operated by Nazimgarh Resort. Different types of mechanised boats can be hired from there to travel to Lalakhal. 

It is also possible to go to Lalakhal by Micro Bus or Private car. Not far from the Sari Bridge is an old structure which used to be a tavern named after ‘Iraboti’, the princess of the Jainta Province,in the middle of the road. Lalakhal is just 7 km away from this landmark. Tourists can embark on a journey to the Zero Point by boat from the River Queen restaurant. A microbus can be rented for 3500-5500 BDT depending on its size and make, though it would cost more at the weekend (especially on Fridays). 

Locally made mechanised boats may be hired from Sarighat about 1200-1500 BDT while the special boats of Nazimgarh Boat Station would cost 2000-5000 BDT. 

A half-an-hour boat ride from the River Queen restaurant (Lalakhal) costs 500 BDT.

Where to stay?

Nazimgarh Resorts operates ‘Adventure Tent Camp’ in Lalakhal which is open to tourist during Winter. 

Apart that, Nazimgarh has a world class nature Resort Wilderness in Lalakhal.

Where to eat?

Nazimgarh Resort runs a cosy restaurant named River Queen located on the bank of the Sari and open to all tourists. Lunch costs about 400-500 BDT per person.

Information you need to know?

Lalakhal is place, Tourist may visit in winter and monsoon both season. During winter may enjoy the serenity of Saree river, where monsoon offers the eternal greenery and cloud drench mountains. 

There is no police station in Lalakhal. As it is under Jainitapur Thana Of Sylhet District for any help need to call Officer In In charge- 01713374377, UNO- 01730331037.

visitsylhet.com

visitsylhet.com

visitsylhet.com

Monday, July 13, 2015

শ্রীমঙ্গলের ট্যুরিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (কটেজ, রিসোর্ট, হোটেল)

শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের চা রাজধানী হিসেবে খ্যাত। এখানে রয়েছে নানান দর্শনীয় স্থান। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য বেশ কিছু দারুন কটেজ, রিসোর্ট গড়ে উঠেছে যা অন্য এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়না। নীচে সেগুলোর কিছু বর্ননা দেয়া হলো :

শান্তি বাড়ি, রাধানগর : আমার মতে শ্রীমঙ্গলে থাকার শ্রেষ্ঠ জায়গা এটি। শহর থেকে ৫ কি:মি: দুরে রাধানগরের গ্রামীন পরিবেশে গড়ে উঠেছে অসাধারন সুন্দর এই ইকো কটেজ। এখানে মোট ঘর আছে দুটি। একটি কাঠের তৈরী দ্বিতল ঘরে রুম আছে ৪ টি। প্রতি রুমে থাকতে পারবেন ৩ জন, ভাড়া ৩০০০ টাকা। আর বাশের কটেজে রুম আছে ২ টি। থাকা যাবে দুজন করে, ভাড়া ২০০০।
যোগাযোগ : ০১৭১৬-১৮৯২৮৮ (লিংকন)

নিসর্গ ইকো কটেজ, রাধানগর : বিদেশী অর্থায়নে বাংলাদেশর সরকারের বন রক্ষার বিশেষ প্রকল্প নিসর্গ এর নির্দেশনার আলোকে গড়ে উঠেছে এ ইকো কটেজ। এখানে লিচুবাড়ি এবং রাধানগড় এ দুজায়গায় মোট কটেজ আছে ৭ টি। প্রতিটিতে ২ জন থেকে শুরু করে ৪ জন থাকা যায়। ভাড়া ১৭০০ টাকা থেকে শুরু।
যোগাযোগ : ০১৭১-৫০৪১২০৭ (জনাব শামসু)

হারমিটেজ, রাধানগর : রাধানগর গাছপালা ঘেরা একটি খালের ঠিক ওপরেই চাৎকার এ গেষ্ট হাউজটির অবস্থান। এখানে থাকলে পানি প্রবাহের শব্দ শোনা যায় রাতের বেলা। এদের একটি লাইব্রেরীও আছে ঠিক খালের পাড় এ। তবে মালিকের ব্যবহার খারাপ frown emoticon মুল ভবনে রুম আছে ৪ টি ভাড়া ৫০০০, ৪৫০০ এবং ৩৫০০ করে। থাকা যাবে ২-৩ জন প্রতি রুমে। এছাড়া রয়েছে ৩ রুমের কটেজ প্রতিটির ভাড়া ৩০০০ টাকা করে।
যোগাযোগ : ০১৯৩-২৮৩১৬৫৩ (ফারুক)

টি রিসোর্ট, ভানুগাছ রোড : শ্রীমঙ্গলে থাকার অন্যতম সেরা জায়গা এটি। বাংলাদেশ টি বোর্ড পরিচালিত এ রিসোর্ট এ অনেকগুলো কটেজ রয়েছে। দুই রুমের একটি কটেজের ভাড়া ৫১৭৫ টাকা। ২ জন থাকার মতো ১ রুমের কটেজের ভাড়া ২৮৭৫ টাকা।
যোগাযোগ : ০১৭১-২৯১৬০০১ (অরুন)

গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট, রাধানগর : শ্রীমঙ্গলের ফাইভ ষ্টার রিসোর্ট। ভাড়া ১১ হাজার থেকে শুরু। বিস্তারিত দেয়া হলোনা। তবে গুগল সার্চ করে ওয়েবে পাবেন আরো বিস্তারিত।
বুকিং : ৯৮৭৯ ১১৬১

এছাড়া আরেকটু কম খরচে (৫০০-১৫০০ টকা) যদি থাকতে চান তবে থাকতে হবে শহরের মধ্যের হোটেলগুলোতে। এমন কয়েকটি হোটেলের নম্বর দেয়া হলো :
- হোটেল টি টাউন : ০১৭১৮-৩১৬২০২
- হোটেল প্লাজা : ০১৭১১-৩৯০০৩৯
- হোটেল ইউনাইটেড : ০১৭২৩-০৩৩৬৯৫

শান্তি বাড়ি, রাধানগর


Saturday, July 11, 2015

জাফলং, সিলেট


অনিয়ন্ত্রিত পাথর উত্তোলন ও পাথরভাঙ্গা (ক্রাশার) মেশিনের উৎপাতে আগের সেই সৌন্দর্য্য অবশিষ্ট না থাকলে ও এখনো সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে জাফলং ‘মাস্ট সি’ গন্তব্য। উত্তর খাসিয়া হিলস থেকে নেমে আসা ডাউকী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে পিয়াইন নাম নিয়ে, এই পিয়াইন নদীর অববাহিকাতেই জাফলং- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে। সিলেট শহর থেকে ৬২ কিমি উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান, গাড়ী থেকে নেমে ভাড়ার নৌকা নিয়ে জিরোপয়েন্টে যাওয়া যায়, যেখানে রয়েছে ডাউকি’র ঝুলন্ত সেতু। খেয়া বা ভাড়া নৌকায় নদী পেরিয়ে পশ্চিম তীরে গেলে খাসিয়া আদিবাসীদের গ্রাম সংগ্রামপুঞ্জি ও নকশীয়াপুঞ্জি। নদীর পাড় থেকে স্থানীয় বাহনযোগে এসব পুঞ্জী ঘুরে বেড়ানো যায়। নকশীয়াপুঞ্জির পাশেই জাফলং চা বাগান। কোন কোন পর্যটক চা বাগানে ঘুরে বেড়াতে ও পছন্দ করেন। 

জাফলং যাওয়ার সাত কিঃমি আগে তামাবিলে ও পর্যটকরা যাত্রাবিরতি করেন। তামাবিল মুলতঃ ল্যান্ড কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট। কাস্টমস অফিসের ঠিক পেছনেই সীমান্তরেখা ঘেঁষে অবস্থান করছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গনকবর। 

তামাবিল যাওয়ার আগে জৈন্তিয়াপুর উপজেলা সদর। ইতিহাসপ্রিয় পর্যটকরা এখানে পুরনো রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ দেখে যেতে পারেন। উল্লেখ্য যে, প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে জৈন্তিয়া ছিলো একটি স্বাধীন রাজ্য যা ১৮৩০ সালে বৃটিশ সাম্রাজ্যের দখলভুক্ত হয়। প্রাচীন রাজ্য জৈন্তিয়ার গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী খাসিয়াদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এখনো কিছু ম্যাগালিথিক স্মৃতিস্তম্ভ চোখে পড়ে। জ়ৈন্তিয়াপুর উপজেলা অফিসের কাছেই রয়েছে সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্র। তেজপাতা, লেবু, সাতকড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান রয়েছে এখানে, এই গবেষনা কেন্দ্র থেকে অদূরেই বেশ কয়েকটি ঝর্ণা দৃশ্যমান। 

জৈন্তিয়াপুর ও তামাবিল এর মাঝামঝি রয়েছে শ্রীপুর। হাতের বামে শ্রীপুর পিকনিক সেন্টার, ডানপাশে একটূ এগিয়ে গেলেই শ্রীপুর পাথর কোয়ারী। 

বিশেষ করে বর্ষাকালে জৈন্তাপুর থেকে তামাবিল পর্যন্ত ভ্রমন এক অনন্য অভিজ্ঞতা। সড়কের পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল খাসিয়া পর্বত, ঘনসবুজে ঢাকা। এই সবুজের মধ্যে সাদা মেঘের দূরন্ত খেলা আর অনেকগুলো ঝর্ণার উচ্ছ্বাস। 

যদি ও শীতকালেই পর্যটক সমাগম বেশী হয় কিন্তু এই অঞ্চলের পাহাড়ের সবুজ, মেঘ ও ঝর্ণার প্রকৃত সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায় বর্ষাকালে। সিলেটে বর্ষা সাধারনতঃ দীর্ঘ হয়। সেই হিসেবে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমনের উপযুক্ত সময়। 

সরাসরি জাফলং যেতে সিলেট থেকে গাড়ীতে সময় লাগে একঘন্টা ত্রিশ মিনিটের মতো। জৈন্তাপুর, শ্রীপুর, তামাবিলে যাত্রাবিরতি করলে সময় সেই অনুযায়ী বেশী লাগবে। সিলেট শহর থেকে ৬-৮ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৪৫০০ - ৫০০০ টাকার মধ্যে। ৯-১২ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৫৫০০ - ৬০০০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার হলে আরেকটু বেশী ও হতে পারে। নৌকা নিয়ে জিরোপয়েন্টে যেতে স্থানীয় নৌকায় ৫০০ টাকার মতো খরচ পড়ে। নাজিমগড় রিসোর্টসের পরিচালনায় কিছু যান্ত্রিক নৌকা ও আছে, এগুলোর খরচ একটু বেশী। 

নদী পেরিয়ে খাসিয়া পুঞ্জিতে যেতে স্থানীয় বাহনে ( ময়ূরী নামে পরিচিত) খরচ পড়বে সময়ভেদে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। 

নদীর পূর্ব পাড়ে স্থানীয় মানের কিছু খাবারের দোকান আছে। পশ্চিমপাড়ে সংগ্রামপুঞ্জির ভেতরে রয়েছে নাজিমগড় রিসোর্টসের পরিচালনায় ‘ক্যাফে সেংগ্রাম্পুঞ্জি’। খাবারের দাম স্থানীয় দোকানগুলো থেকে বেশী কিন্তু খাবারের মান, পরিবেশনা এবং রেস্টুরেন্টের নান্দনিক সৌন্দর্য্য অনুযায়ী খুব বেশী নয়। এই ক্যাফেতে বসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে খাসিয়া পাহাড়, পিয়াইন নদী, ডাউকীর ঝুলন্ত ব্রীজের ছবির মতো দৃশ্য উপভোগ্য।

Despite the loss of its former splendour due to unrestricted mining and crushing of stones, Jaflong is still a ‘must-see’ destination for tourists visiting Sylhet. Flowing from the north Khasi mountains, the river Dauki enters Bangladesh under the name ‘Piyain’, along the bank of which lies the spectacular Jaflong. About 62 km north-east from Sylhet city, Jaflong is in the East Jaflong Union under Guainghat Upazilla. Visitors can hire boats to go to the Zero Point and see the beautiful hanging bridge over the Dauki. Just across the river on the western side are the villages Sangrampunji and Nakshiapunji, which are accessible through ferries or rented boats. Just beside Nakshiapunji is Jaflong Tea Garden which is a top tourist attraction.

Though tourists come in large numbers in winter, one has to visit Jaflong in the rainy season to see the real beauty of the falls cascading from lush green mountains.

On the way to Jaflong visitors usually take a recess at Tamabil, which is about 7 kilometres away from Jaflong. It is mainly a land custom and immigration check post, behind which is a war cemetery, where martyred freedom fighters were buried in 1971, along the Bangladesh-India border. 

On the way to Tamabil is Jaintapur Upazilla Sadar where tourists usually stop for a while to see the ruins of an ancient royal palace. It was not until 1830 that the independent province of Jaintiapur was invaded and brought under the British empire. Some megalithic monuments still stand testimony to the rich past of the Khasi tribe. Not far from the Upazilla Council is the Citrus Research Centre boasting of gardens with local vegetation such as tezpata, sathkora and many other fruits. Adding to the beauty of this research centre is a plethora of cascading waterfalls flowing from the Khasi mountains of India. Situated between Jaintapur and Tamabil is Sreepur which is a popular picnic spot. Travelling through Jaintapur to Tamabil in the monsoon is once-in-a-lifetime experience. Lush green tall Khasi mountains stand upright beside the road. The stunning beauty of white clouds and gushing waterfalls flowing from the green mountains fascinates locals and tourists alike. 

Though tourists come in large numbers in winter, one has to visit Jaflong in the rainy season to see the real beauty of the falls cascading from lush green mountains. As Sylhet witnesses an extended rainy season the perfect time to visit Jalfong is between April and October.

How to go there?

Nearly two hours drive from Sylhet city centre, Jaflong is easily accessible by route. A microbus can be hired for 4000-5000 BDT. A boat trip from Jaflong to the Zero Point costs 500-1000 BDT. A trip to Khasiapunji by the local transport called moyori would cost 500-1000 BDT. 

There are some reasonably good local restaurants on the east side of the river. Café Sangrampunji, a restaurant run by Nazimghar Resorts operates in Sangrampunji on the west side of the river. The cost, despite being higher than that of the local restaurants, is not much in view of its quality, service and the aesthetic appeal of the restaurant. A sip in a cup of coffee while surveying the wonders of the Khasi mountains, the Piyain and the hanging bridge over the Dauki can be an amazing experience for anyone.

Where to stay?

Near To Tamabil There is a Guest house Run By BGB. 

Before that near to Sreepur there is 'Jaintia Hill Resort' 

In Lalakhal Nazimgarh has a World class Resort named as Nazimgarh Wilderness Resorts. 

But most of Visitor prefers to stay in Hotel/ Resorts in Sylhet town as it is just a journey of maximum 2 hours.

Where to eat?

There is some local quality Restaurants on the East side of the river. 

'Café Sengrampunji' a restaurant run by Nazimghar Resort is found in the Khasi village Sengrampunji on the West side of the river. The cost is comparatively higher than the local restaurants but it is not much beside its quality, serving and the artistic beauty of the restaurant. It is really amazing to have a cup of coffee and see the wonderful beauty of the Khasi Hill, Piyan River, and the Hanging Bridge of Dawki.

Information you need to know?

Since Jaflong Zero Point is literally Bangladesh- India Border , Tourist should take exta care. During summer it might be dusty and hot, need care for under age and seniors. At Monsoon sometimes it may affected by flush flood. So get weather information is advisable. 

There is no police station in Jaflong. As it is under Gowainghat Thana Of Sylhet District for any help need to call Officer In charge- 01920393533, UNO- 01730331036.

visitsylhet.com

visitsylhet.com

visitsylhet.com

visitsylhet.com

Monday, July 6, 2015

বিছনাকান্দি, সিলেট

এখানে খাসিয়া পাহাড়ের অনেকগুলো ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে সুউচ্চ ঝর্ণা। বর্ষায় থোকা থোকা মেঘ আটকে থাকে পাহাড়ের গায়ে। পূর্ব দিক থেকে পিয়াইন নদীর একটি শাখা পাহাড়ের নীচ দিয়ে চলে গেছে ভোলাগঞ্জের দিকে। পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতের সাথে বড় বড় পাথর এসে জমা হয় বিছনাকান্দি। 

বিছনাকান্দি ও মুলতঃ জাফলংয়ের মতোই একটি পাথর কোয়ারী। শীতকালে যান্ত্রিক পাথর উত্তোলন- সেই সাথে পাথরবাহী নৌকা, ট্রাকের উৎপাতের কারনে পর্যটকদের জন্য এসময় উপযুক্ত নয়। কিন্তু বর্ষায় এইসব থাকেনা বলে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, মেঘের সমন্বয়ে বিছনাকান্দি হয়ে উঠে এক অনিন্দ্য সুন্দর গন্তব্য। 

বিছনাকান্দি যাওয়ার একাধিক পথ আছে। বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে সিলেট গোয়াইনঘাট সড়ক ধরে হাতের বামে মোড় নিয়ে যেতে হয় হাদারপাড়। হাদারপাড় বিছনাকান্দির একেবারেই পাশে। এখান থেকে স্থানীয় নৌকা নিয়ে বিছনাকান্দি। হাদারপাড় পর্যন্ত গাড়ী যায়। সিলেট থেকে দূরত্ব বেশী না হলে ও কিন্তু রাস্তার অবস্থা ভালো নয়। (সিলেট) আম্বরখানা থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত ভাড়ার সিএনজি পাওয়া যায়। 

পর্যটকদের জন্য আরেকটি বিকল্প হচ্ছে- বিছনাকান্দি যাওয়ার জন্য পাংথুমাই চলে আসা। বড়হিল ঝর্ণার কাছ থেকেই পিয়াইন নদীর একটি শাখা পশ্চিম দিকে চলে গেছে বিছনাকান্দি। নৌকা নিয়ে পাহাড়ের নীচ দিয়ে প্রবাহমান এই পাহাড়ী নদী ধরে বিছনাকান্দি যাওয়ার মুহুর্তগুলো দারুন স্মরনীয় হয়ে থাকবে। নৌকা সময় লাগে একঘন্টার একটু বেশী।


Bisnakandi is a village situated in Rustompur Union under Guainghat Upazilla. This is where many layers of the Khasi mountain meet at a single point from both sides. Flowing from above is a high fall. Adding to its charm are dark clouds hugging the mountain in the rainy season. And flowing underneath towards Bholaganj is a branch of the Piyain. Along the stream flowing from high up in the mountain come huge boulders that are deposited and mined in Bisnakandi.
This is where many layers of the Khasi mountain meet at a single point from both sides. Flowing from above is a high fall. Adding to its charm are dark clouds hugging the mountain in the rainy season.
Much like Jaflong, Bisnakandi is mostly a quarry. Winter is not a suitable time to visit Bisnakandi due to mechanised mining and stone-laden boats and lorries. The absence of such nuisance makes the rainy season the perfect time to visit the beautiful Bisnakandi that coalesces the charms of high mountains, sinuous rivers, graceful falls and dancing clouds.


How to go there?

There is more than one way to go to Bisnakandi. Tourists can use the Sylhet-Guainghat Road via the airport and take a left turn to reach Hadarpar from where a local boat may be hired to arrive at Bisnakandi. Visitors can go to Hadarpar by CNG-run auto-rickshaws, which are available for hire at Amberkhana Point in Sylhet city. 

An alternative would be to go to Pangthumai first, and then hire a boat near Borhill Fall and ride along the branch of the Piyan which flows west towards Bisnakandi. The boat ride, which takes a little over an hour, on the sinuous river with lush green mountains on both sides is an unforgettable experience.


Where to stay?

There is no accommodation facilities in Bisnakandhi.

Where to eat?

There is no Dine facility in Bisnakandhi. If needed tourist has to take packed food from Sylhet.

Information you need to know?

Since Bisnakandhi Zero Point is literally Bangladesh- India Border , Tourist should take exta care. During summer it might be dusty and hot, need care for under age and seniors. At Monsoon sometimes it may affected by flush flood. So get weather information is advisable. 

There is no police station Ratargul. As it is under Gowainghat Thana Of Sylhet District for any help need to call Officer In charge- 01920393533, UNO- 01730331036




visitsylhet.com

visitsylhet.com

visitsylhet.com

Thursday, July 2, 2015

সিলেটের অ আ ক খ

[ডিস্ক্লেইমারঃ সিলেটে ঘুরাঘুরির প্ল্যান করতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। কোন দিন কোথায় যাবেন, প্ল্যান টা কিভাবে করলে ভালো হবে? কোথা থেকে শুরু করে কোথায় শেষ করবেন আর সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন এক সাথে কতটি স্পট কভার করতে পারবেন? এই নিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন ওপেন ফোরাম থেকে পাওয়া তথ্য গুলোকে সংকলন করে বানানো একটি তথ্য বাতায়ন। এই ব্লগে ব্যবহার করা সব কটি ছবি নেট থেকে সংগৃহীত। প্রকৃত ফটোগ্রাফারদের নাম ও ছবির অরিজিনাল সোর্স ও সাথে সংযুক্তি দেয়া হয়েছে।]



প্ল্যান একঃ আরামদায়ক ভ্রমন
প্রথম দিনঃ সিলেট- ভোলা গঞ্জ (কোম্পানীগঞ্জ ) – সিলেট
দ্বিতীয় দিনঃ সিলেট-খাদিম নগর জাতীয় উদ্যান-মোটরঘাট-রাতারগুল-গোয়াইনঘাট-হাদারপাড়-বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পানথুমাই-গোয়াইন ঘাট- সারিঘাট-জৈন্তাপুর।
অথবা হাদারপাড় থেকে সিলেট।
তৃতীয় দিনঃ সিলেট-সারি ঘাট-লালাখাল-জৈন্তা-তামাবিল-জাফলং-সিলেট/জৈন্তাপুর
চতুর্থ দিনঃ সিলেট-কানাইঘাট-লোভাছড়া-সিলেট।

প্ল্যান দুইঃ দৌঁড়ের উপর ম্যাক্সিমাম স্পট
প্রথম দিনঃ আম্বরখানা-লাক্কাতুরা চা বাগান-হাদারপাড়-বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই-গোয়াইনঘাট-রাতারগুল-মোটরঘাট-সিলেট।
দ্বিতীয় দিনঃ সিলেট-হরিপুর গ্যাস ফিল্ড-কানাইঘাট-লোভাছড়া-সারিঘাট-লালাখাল-সারিঘাট-তামাবিল হয়ে জাফলং/সিলেট।

প্ল্যান তিনঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বর্ডার হাইকিং
প্রথম দিনঃ সিলেট-কানাইঘাট-লোভাছড়া-(হাইকিং)লালাখাল (ক্যাম্প)
দ্বিতীয় দিনঃ লালাখাল-জৈন্তা-তামাবিল-জাফলং (ক্যাম্প)
তৃতীয় দিনঃ জাফলং- পিয়াইন নদী ধরে পান্থুমাই-বিছনাকান্দি (ক্যাম্প)
চতুর্থ দিনঃ বিছনাকান্দি-ভোলাগঞ্জ-সিলেট
=================================================================================
প্ল্যান একঃ
প্রথম দিনঃ সিলেট- ভোলাগঞ্জ
ভোলাগঞ্জ
ছবিঃ মাসুদ রানা
কোম্পানিগঞ্জ
ছবিঃ সুমন জামান
মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়- ধলাই নদীর স্বচ্ছ নীল পানি-পাথরের কেয়ারি আর ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্প।
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। সিলেট থেকে পাবলিক বাস বা সিএনজি বেবীট্যাক্সি করে টুকের বাজার পর্যন্ত যেতে পারবেন।ভাড়া ৬০ টাকা। রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ রকম খারাপ।টুকের বাজার থেকে আবার বেবীট্যাক্সি করে ভোলাগঞ্জ যেতে হবে। ভাড়া ৩০ টাকা। সিলেট থেকে রিজার্ভ সিএনজি প্রায় ১৫০০-২০০০ টাকার মত চাইতে পারে। বিশেষ কোয়ারীতে যেতে হলে বিজিবি’র অনুমতি নিতে হবে। ইঞ্জিন নৌকার ভাড়া ১০০০- ২০০০/- পর্যন্ত। এখানে থাকার কোন ভালো জায়গা নাই। দুপুরে খাবার জন্যে শুধু মধ্যমমানের হোটেল পাবেন।
দ্বিতীয় দিনঃ
এক. রাতারগুল জলা বন
রাতারগুল জলা বন
সোর্সঃ ওয়ারল্ড ট্যুরিজম ডে ওয়েব সাইট
খুব ভোরে নাস্তা করে সিলেট শহরের আম্বর খানা থেকে একটা সিএনজি রিজার্ভ করে মোটর ঘাট (শ্রিংগি ব্রিজ) চলে যাবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। সিএনজি যাবে খাদিম নগর জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে। মাঝপথে কিছুক্ষনের জন্য থেকে যেতে পারেন। ভোর বেলার বন একটু অন্যরকম। সময় লাগবে ঘন্টা দেড়েক।
শ্রিংগি ব্রিজ থেকে ছোট ডিঙি নৌকা ভাড়া করতে হবে। একটি নৌকায় মোটামোটি ৬ জন বসতে পারে। ভাড়া নিবে ৩৫০-৬০০ টাকা। বিট অফিস এর অফিসার কে জানিয়ে এর পর বনে প্রবেশ করবেন একদম নিঃশব্দে। ঘন্টা খানেক জলাবন উপভোগ করে আবার চলে আসবেন মোটর ঘাট। এইবার আপনাকে একটি বড় ট্রলার ভাড়া করতে হবে গোয়াইনঘাট যাওয়ার জন্য। ভাড়া পরবে প্রায় ৭০০-১০০০টাকা। গোয়াইনঘাটে পৌঁছাতে লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা।
দুই. বিছনাকান্দি  তিন. পান্থুমাই  চার. লক্ষনছড়া
বিছনাকান্দি
ছবিঃ রফিকুল ইসলাম বাবু
পান্থুমাই
ছবিঃ লাল কমল
গোয়াইনঘাট বাজারেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে অথবা প্যাক করে নিতে পারেন। এরপর আর খাবার কোন জায়গা পাবেন না। গোয়াইন ঘাট থেকে আপনাকে যেতে হবে হাদারপাড়। গোয়াইন ঘাট বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে সহজেই হাদারপাড় যাওয়া যাবে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। হাদারপাড় থেকে পানি কম থাকলে হেঁটেই চলে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের স্বর্গীয় স্থান ‘বিছনাকান্দি’। মাঝে একবার তিন টাকা দিয়ে খেয়া পার করতে হবে।
বর্ষার সময় পানি বেশি থাকলে আর একবারে পান্থুমাই আর লক্ষনছড়া দেখে ফেলতে চাইলে হাদারপাড় থেকে সরাসরি একটা বড় নৌকা রিজার্ভ করে নিলেই ভালো। ‘বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই’ এই তিনটি জায়গা ঘুরিয়ে আনতে নৌকার খরচ পরবে ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় ১৫০০-২০০টাকা। লক্ষনছড়া মাঝি চিনে কিনা সেটা আগেই জিজ্ঞেস করে শিওর হয়ে নিবেন। তিনটি জায়গা মোটামোটি ভাবে ঘুরে হাদারপাড় ফিরে আসতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা।
** হাদারপাড়ে থাকার জন্য নতুন একতি হোটেল খুলেছে, নাম “পাকশী”। খাবার হোটেলের উপরের তলায় থাকার ব্যবস্থা আছে। জনপ্রতি রুম ভাড়া ২০০টাকা।
এখন রাতে থাকার ব্যবস্থার উপর ডিপেন্ড করে আপনার কাছে অপশন থাকবে দু’টিঃ
[ক] সিলেটে থাকার হোটেল ঠিক করে থাকলে হাদারপাড় থেকে সরাসরি সিলেট শহরে ব্যাক করতে পারেন। সিএনজি নিবে জনপ্রতি ৮০টাকা। একটি সিএনজি তে ৫ জন বসতে পারে।
[খ] তামাবিল/জৈন্তাপুর এর দিকে বেশ কিছু রিসোর্ট আছে। আপনার থাকার ব্যবস্থা যদি এইদিকে কোথাও হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে হাদারপাড় থেকে আবার আগের মতই গোয়াইনঘাটে আসতে হবে। গোয়াইন ঘাট থেকে যেতে হবে সারি ঘাট। সিএনজি/লেগুনাতে করে যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ৬০টাকা।
তৃতীয় দিনঃ
এক. জাফলং- সেনগ্রামপুঞ্জি
সেনগ্রামপুঞ্জি
ছবিঃ কাউয়া
খাসিয়া পুঞ্জির গ্রাম
ছবিঃ শিহাব চৌধুরি
রাতের বেলা সিলেটে থাকলে সকাল সকাল নাস্তা করে জাফলং এ চলে আসবেন। লোকাল বাসে আসতে সময় লাগবে প্রায় দুই ঘন্টা। ভাড়া নিবে ১০০টাকা। সিএনজি রিজার্ভ করলে নিবে প্রায় ৫০০-৭০০টাকা। জাফলং নেমেই সময় নষ্ট না করে খেয়া পাড় হয়ে যাবেন। ৫-১০ টাকার মত নিবে। নদী পাড় হয়ে পুঞ্জির ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করতেই দেখবেন খাশিয়াদের সুন্দর সাঁজানো ছবির মত গ্রাম আর পুঞ্জি। সোজা চলে গেলে একটু পরেই পুঞ্জির বাইরে একটা খোলা জায়গায় চলে আসবেন। এরপর পিয়াইন নদী ধরে আবার পূর্ব দিকে হাঁটা দিলেই পাবেন সেনগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা। ঝর্ণা টা পড়েছে ভারতে। এর ঠিক সামনেই আছে সেনগ্রামপুঞ্জি রেস্তোরা। দুপুরে এখানেই খেয়ে নিতে পারেন অথবা সময় থাকলে লালাখালের জন্য ক্ষিদে জমিয়ে রাখতে পারেন।
দুই. জৈন্তা রাজবাড়ি
জৈন্তা
ছবিঃ ওসমানীনগর বার্তা
জাফলং থেকে সারিঘাটে ফেরার পথে জৈন্তাপুর বাজারের কাছেই অবস্থিত রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখে নিতে পারেন। সাথে সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের বাহারি সব টক জাতীয় ফলের বাগান ও দেখে আসতে পারেন।
তিন. লালাখাল
লালাখাল
ছবিঃ নাজমুস সাকিব
জৈন্তা থেকে লোকাল বাস/সিএনজি তেসারিঘাট। সারিঘাটে নেমে ইঞ্জিননৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে লালাখাল। আপ-ডাউন ট্রিপে একটা নৌকা নিবে৩৫০-৫০০ টাকা। দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে আসা-যাওয়ায়। লালাখালে ছোট একটি টি- এস্টেট আছে। আর একটা নাজিমগর রিসোর্টের রেস্তোরা (রিভারকুইন ০১৭৩৩৩৩৮৮৬৬/০১৭৩৩৩৩৫৫৬০) আছে। দুপুরের খাবার এখানে খেতে পারেন। এরপর সারি ঘাট থেকে আবার সিলেট শহরে অথবা আশাপাশের কোন রিসোর্টেও থাকতে পারেন।
চতুর্থ দিনঃ
এক. লোভাছড়া
লোভাছড়া
ছবিঃ আবদুল মোমেন রোহিত
সিলেট থেকে যেতে হবে কানাইঘাট। সিএনজি নিবে প্রায় ৫০০-৭০০টাকা। সময় লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। সিএনজি কে আগেই বলে নিবেন আপনাদের কতক্ষন লাগতে পারে। পরে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে হ্যারাস করতে পারে। কানাইঘাট থেকে একটা নৌকা নিয়ে যেতে হবে লোভাছড়া চা-বাগান আর লোভাছড়া জাতীয় উদ্যান। নৌকা ভাড়া নিবে প্রায় ৫০০-৮০০টাকা। এরপর সিলেটে ফিরে আসবেন আগের পথে।
দুই. শাহজালাল (রাঃ) মাজার দেখে বিকাল টা কাটাতে পারেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
(অথবা এর উল্টো টা ও করা যেতে পারে)

প্ল্যান দুইঃ
প্রথম দিনঃ
এক. বিছনাকান্দি 
দুই. পান্থুমাই 
তিন. লক্ষনছড়া
সিলেট আম্বরখানা থেকে খুব ভোরে সিএনজি নিয়ে হাদারপাড় চলে যাবেন। ভাড়া নিবেন জনপ্রতি ৮০ টাকা। এর আগেই পারলে নাস্তা করে নিবেন। কারন হাদারপাড়ে কিছু পাবেন না। প্তহের মধ্যেই পরবে লাক্কাতুরা চা বাগান। চাইলে নেমে ঘুরে দেখতে পারেন। হাদারপাড় পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। হাদারপাড় থেকে পানি কম থাকলে হেঁটেই চলে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের স্বর্গীয় স্থান ‘বিছনাকান্দি’। মাঝে একবার তিন টাকা দিয়ে খেয়া পার করতে হবে।
বর্ষার সময় পানি বেশি থাকলে আর একবারে পান্থুমাই আর লক্ষনছড়া দেখে ফেলতে চাইলে হাদারপাড় থেকে সরাসরি একটা বড় নৌকা রিজার্ভ করে নিলেই ভালো। ‘বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই’ এই তিনটি জায়গা ঘুরিয়ে আনতে নৌকার খরচ পরবে ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় ১৫০০-২০০টাকা। লক্ষনছড়া মাঝি চিনে কিনা সেটা আগেই জিজ্ঞেস করে শিওর হয়ে নিবেন। তিনটি জায়গা মোটামোটি ভাবে ঘুরে হাদারপাড় ফিরে আসতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা।
চার. রাতারগুল
হাদারপাড় থেকে চলে আসতে হবে গোয়াইন ঘাট। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। গোয়াইন ঘাট থেকে রাতারগুল যাওয়ার জন্য বড় নৌকা ভাড়া করতে হবে। ১০-১২ জনের জন্য একতা নৌকা ভাড়া নিবে প্রায় ৮০০-১৫০০ টাকা। বিট অফিস পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। নৌকার ইঞ্জিনের শক্তির উপর ডিপেন্ড করবে। বিট অফিসের সামনে থেকে আবার ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে বনের ভিতর যেতে হবে। ছোট নৌকার ভাড়া পরবে প্রায় ৩৫০-৫০০টাকা।
রাতারগুল ঘুরা শেষ করে চলে আসবেন মোটরঘাট। সেখান থেকে সিলেট শহর। ভাড়া পরবে জনপ্রতি ১০০টাকা।

দ্বিতীয় দিনঃ
এক. লোভাছড়া
খুব সকালে আম্বরখানা থেকে সিএনজি নিয়ে কানাই ঘাট। ভাড়া নিবে ৫০০-৭০০ (ওয়ান ওয়ে বলে নিবেন)। সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। এরপর নৌকা নিয়ে লোভাছড়া চা-বাগান আর জাতীয় উদ্যান দেখতে যাবেন। নৌকা নিবে প্রায় ৬০০-৮০০টাকা। যেতে আসতে সময় লাগবে প্রায় ঘন্টা খানেক।
কানাইঘাটে ফিরে আপনি সোজা সিএনজি ঠিক করে চলে যাবেন সারিঘাট। সারিঘাট থেকে লালাখাল। উপরে লালাখাল যাওয়ার বিস্তারিত দেয়া আছে।
লালাখাল থেকে ফিরে জৈন্তা হয়ে চলে যাবেন জাফলং। সেনগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা দেখে, রেস্তোরায় খেয়ে দেয়ে বিকাল টা মেঘালয়ের পাহাড়ে ঢলতে দেখে আবার রাতের মধ্যে শহরে ফিরে ঢাকার বাস/ট্রেন ধরতে পারেন।
ফেরার পথে সময় আর তেল থাকলে নেমে জৈন্তা রাজবাড়ি টা দেখে নিতে পারেন।

প্ল্যান তিনঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বর্ডার হাইকিং
এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলার নাই। সাথে থাকবে নিজেদের সব প্রয়োজনীয় জিনিস। একদিক থেকে হাঁটা শুরু করবো। এরপর বর্ডার ধরে এগুতে থাকবো…
যেদিকে হবে রাইত, সেখানেই কাইত।

ঢাকা থেকে সিলেটঃ
ট্রেনঃ ঢাকা থেকে সিলেট এর রাতের ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়ে রাত ১০টায়। সিলেট পৌঁছায় সকাল ৭টায়। ভাড়া ২৯৫ টাকা।
বাসঃ শ্যামলী,হানিফ, গ্রীন লাইন, সোহাগ, সাউদিয়া, এস আলম, এনা (ঘোড়াশাল-টঙ্গী রুট)। ভাড়া ৪৫০ টাকা।

হোটেলঃ 
সিলেট শহরে থাকার জন্য অনেকভালো মানের হোটেল আছে। শহরের নাইওরপুল এলাকায় হোটেল ফরচুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)।
জেল সড়কে হোটেল ডালাস (০৮২১-৭২০৯৪৫)। ভিআইপি সড়কে হোটেল হিলটাউন (০৮২১-৭১৮২৬৩)। লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন (০৮২১-৮১৪৫০৭)।
আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)। দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)। হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।
জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০)। তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮) ইত্যাদি।
** জৈন্তাপুর ও তামাবিলে বেশ কিছু উচ্চমানের রিসোর্ট আছে যেমনঃ এই জায়গা গুলোতে থাকতে পারলে তাহলে আর কষ্ট করে সিলেট শহরে ফিরতে হবে না। আরামসে একদিন বিলাস বহুল ভাবে কাটিয়ে ঘুরফিরে চলে আসা যাবে। 
জৈন্তা হিল রিসোর্টঃ ওয়েব সাইট / ফোনঃ বাহার (০১১৯৩২১৮৯৯৯)
বিজিবি সম্মেলন কেন্দ্রেঃ সুন্দর, দামী আর জায়গা পাওয়া কষ্টকর। তাই বুকিং নিশ্চিত করে যাওয়া টা উত্তম। যোগাযোগঃ  ০১৭৬৯৬১৩০৭০ (মোজাম্মেল)
নলজুড়ি উপজেলা সরকারি ডাকবাংলোঃ পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে এইখানে থাকতে পারেন। সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য প্রতিটি রুম ৫০০টাকা। আর সিভিলিয়ানদের জন্য ১৫০০টাকা। আমার থাকা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ডাকবাংলো। এখান থেকে তামাবিলের বিখ্যাত তিন ঝর্ণাই দেখা যায়।
খাবার রেস্তোরাঃ 
পানশি, পাঁচ ভাই জনপ্রিয় দুটি রেস্তোরা। এছাড়া আছে উন্ডাল সহ সব নামি-দামি খাবার দোকান। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ ইশকনের নিরামিষ খাবার। ৬০ টাকায় পেট চুক্তি।
বিঃদ্রঃ
১. ঘুরতে যাওয়ার সময় চোখ কান বুজে দৌঁড়ানোটা বোকামী, তাই হাতে ভালো সময় নিয়ে ঘুরতে যাওয়া উচিৎ।
২. খুব ভোরে দিন শুরু করতে পারলে একদিনে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
৩. স্থানীয় মানুষদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করুন। ভাব-ভঙ্গি ভালো হলে বাংলাদেশ সাহায্য পাওয়ার সব চাইতে ভালো জায়গা।
৪. পরিবেশ নোংরা করবেন না। আপনার চিপস/বিস্কিট অ অন্যান্য পলি জাতীয় আবর্জনা সাথে করে নিয়ে আসুন।
৫. এই জায়গা গুলো ভালো মত কমম খরচে ঘুরার জন্য ৪-৫ জনের টীম সবচেয়ে আদর্শ।
৬. এখানে উল্লেখিত বিভিন্ন ভাড়া/দাম এর ব্যাপার টা মোটেও ফিক্সড কিছু না। পর্যটকদের চাপ বাড়লে এই দাম গুলো বেড়ে যায়। আবার ভিড় কম হলে কমে যায়। তাই এখানে সম্ভাব্য একটি সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন রেঞ্জ দেয়া হয়েছে। এইক্ষেত্রে সব সময় দামাদামি করে নেয়া টা বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার কাছে সব কিছুর দাম হাঁকিয়েই বলবে কিন্তু। জোর গলায় দামাদামি করে নিবেন।

[ ব্লগটিকে আরও এনরিচ করার ইচ্ছা আছে। ধীরে ধীরে আরও নতুন নতুন জায়গা যুক্ত হবে। আনিকা ও মুনিম কে সহযোগীতা করার জন্য ধন্যবাদ।]
ব্যবহৃত ছবি গুলোর সোর্সঃ

/12 Comments/in  /by