Monday, June 15, 2015

আমার ঘুরাঘুরির ছবি ব্লগ

বগালেক
দার্জিলিং পাড়া, বান্দরবন
হাট হাজারি, চট্রগ্রাম
জাদিপাই, বান্দরবন
জল ও জংঙ্গলের কাব্য, পুবাইল
জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি
কাপ্তাই, চট্রগ্রাম
কেওক্রাডাং
মানিকগঞ্জ
নীলগিরি
ভাটিয়ারি, চট্রগ্রাম
রাঙ্গামাটি রিসোর্ট, গাজিপুর
রাউজান, চট্রগ্রাম
রাতারগুল
সাজেক
সাজেক
বিছানাকান্দি
জাফলং, সিলেট
টাংগাইল, সিলিমপুর
ভাটিয়ারি সানসেট পয়েন্ট 

Sunday, June 14, 2015

bdnews24-এ আমার কিছু ব্লগনামা

ওয়াইল্ড টুর এট কেওক্রাডাং


জানুয়ারি ৫, ২০১৩, ১ম দিনঃ
কেওক্রাডাং (Keokradong) যাওয়ার পথ এই থেকে শুরু করলাম হাটা, প্রথমেই পড়ল  বগা লেক, বগা লেকের কথা আর কি বলবো? বগা লেক যে উঠতে পারবে সেই কেওক্রাডাং জয় করতে পারবে, ৬০-৭৫ ডিগ্রিতে পাহাড় বাইতে হবে হেটে। এটাই অনেকের জন্য এক্সাম ঢাকা আবার ফেরত আসবে কিনা!! বাকি পথের কথা না হয় নাই বললাম, নিজের চোখে দেখে আসার অনুরোধ করলাম।

Thanks bdnews24.com

ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/bdnews24/posts/10154855957025601

ব্লগ লিঙ্কঃ http://blog.bdnews24.com/safatrono/160590


নাফাখুম-অমিয়াখুম-সাত ভাই খুম ভায়া তিন্দু-রেমাক্রি


অনি তুমি কি শুনাইলা?
নাহ কথাটা বিশ্বাস হচ্ছে না, নিজের চোখে না দেখলে কিভাবে বিশ্বাস হবে বল?
বৃষ্টির স্মৃতি মনে পড়ে বার বার অনি আমাকে নাফাখুমের কথা স্মরণ করেছে। আসলেই বিশ্বাস হবে কিভাবে?
নাফাখুম থেকে রেমাক্রি আসার পথে সেই লেভেলের বৃষ্টি, যেই সেই বৃষ্টি না, বৃষ্টির ফোটাগুলো যেন সুইয়ের খোঁচা মনে হচ্ছে। গায়ে পড়ার সাথে সাথে মনে হচ্ছে কেউ সুইয়ের খোঁচা দিচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হবার সাথে সাথে পাহাড়ীদের মাঝে দৌড় ঝাপ শুরু হয়ে যায়, জেনে রাখা ভালো বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ী ঢল যেভাবে নামবে সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। চোখের সামনে যখন দেখবেন পাহাড়ী উপড়ে পড়া গাছ পাক খেতে খেতে ঘূর্নি আকারে আপনার সামনে আসছে কি মনে হয়? এক মিনিট চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো? আর সময়টা হল এপ্রিলের শেষের দিকে ২০১১ সালে। ভরা বর্ষা।
নাফাখুম নিয়ে জানার ইচ্ছে?
নাফাখুম জলপ্রপাত (বাংলাদেশের নায়াগ্রা) নামকরণ কেন?


Again Thanks to bdnews24.com

Facebook Link: http://goo.gl/A5TErL

Blog Link: http://goo.gl/ERVhP1


স্বপ্নের সাজেকে একদিন


একটা সময় খুব একা ফিল করতাম, হতাশ ছিলাম, আর সাজেকের গল্প পড়তাম ব্লগে, পেপারে, বইয়ে। সেখানকার জীবনযাত্রা জেনে গিয়েছিলাম আরো দুই বছর আগেই। লুসাই পাংখোয়া জাতির কথা মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। চাকরি ছেড়ে একটা সময় সাজেকে পালিয়ে হতাশা থেকে বাচঁতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাজেক আমার দেখা হয়নি সে সময়। আরো কিছু বছর আগেই সাজেক ছিল একটা দুর্গম জায়গা। আর আজ সেখানে আর্মির কল্যানে আমরা যেতে পারছি।

খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে মারিশ্যা রাস্তার উপর দিয়ে কাচালাং পার হয়ে মাচালাং হয়ে রুইলুই পাড়ায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সাজেক ভ্যালীতে আসতে হবে।
সাজেকে কি আছে যা নিয়ে এত হাউ কাউ? সাজেকের পাহাড় চূঁড়া থেকে মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সকল ক্লান্তি ও কষ্ট নিমিষেই মিলিয়ে যায়।


আরো কিছু জানার থাকলে দেখে নিতে পারেন। http://goo.gl/6yCSYM
ধন্যবাদ bdnews24.com-কে। http://goo.gl/22n4WH


Saturday, June 13, 2015

জীবন মানেই জী বাংলা

ইদানিং ফেসবুকে ঢুকলে মেজাজ খারাপ হয়। কেন খারাপ হয়? নিউজফিড ভরা বিছানাকান্দি, সাজেক, হামহাম, আর টপ লিস্টের নতুন সংযোজন ডিম পাহাড়ের ছবি (হালকা বদ হজমের সমস্যা আছে বস)। এত্ত সুন্দর দেশটাতে ঘুরার আর কোন জায়গা নাই?

আপনি বা আপনারা সবাই দল বেধে একটা জায়গায় যেতেই পারেন। সমস্যাটা কি? কুল বস বুঝিয়ে বলতেছি.....
সাধারনত বিয়েতে চার-পাঁচ দিনের একটা অনুষ্ঠান হয়। আপনার বাসার কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে, আপনার নিকট আত্মীয় স্বজন নিশ্চয় আপনার বাসাতেই নোঙর ফেলবে। তাদের যেতে যেতে বিয়ের পরে আরও সাতদিন। তখনকি আপনার বাসার স্বভাবিক অবস্থা বজায় থাকবে? আর দু-একজন তখন ঘাপটি মেড়ে আপনার বাসায় অতিথি হয়ে বসে থাকলে আপনার মুখের দিকে তাকানো যাবে? তাকে আপনার খুন করতেও ইচ্ছে হতে পারে। আমরা প্রায় সারা বছরই জায়গাগুলোকে বিয়ে বাড়ি বানিয়ে রাখছি। বুঝেন তাইলে আমরা প্রকৃতির কাছে বেড়াতে গেলে অতিথি হয়েই যাই। 

সবাই এক সাথে দল বেধে, বর যাত্রী সেজে, একটা জায়গাতেই গেলে জায়গাটার স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।
প্রমাণ হিসেবে রাতারগুলের কথাই ধরুন। মাইকে সিলাকি জাওয়ানা, মুন্নিকী বদনামী বাজিয়ে পিকনিক করে, ট্রাভেলার/টুরিস্টের অতিরিক্ত চাপে রাতারগুল এখন স্ট্রক করে প্যারালাইজড রোগীর মত অাসিইউ ভর্তি হয়ে আছে।

আমাদের দেশ আমরাই ঘুরে বেড়াবো। তবে দুইটা-তিনটা জায়গাতেই সবাই এক সাথে কেন? আপনার পরিচিত কেউ যখন বান্দরবান যাবে, আপনি একটু তেঁতুলিয়া ঘুরে আসেন। পরের বার কেউ সিলেট গেলে আপনি একটু সাতক্ষীরা যান। রাতারগুল, সাজেক, ডিম পাহাড়, হামহাম, বিছানাকান্দি, বগা লেকের মধ্যেই কেন আমরা সীমাবদ্ধ।

ঘুরতে বের হবার আগে দেখার মত চোখ দরকার। ঐ চোখটা থাকলে দেখবেন, এই ছোট্ট দেশটায় ঘুরে দেখার জায়গার শেষ নাই। কাধে ক্যামেরা নিয়ে সেলফি তুলে একদিনে হামহাম, লাউয়াছড়া, বিছনাকান্দি। দুই দিনে সাইকেলে ক্রস কান্ট্রি এসব হেডম গিরি কইরা, ছাগলামি দেখায়া লাভ নাই।

ঘুরতে বেড়িয়ে ঝরনার পাশে বসে যদি ঝরনার শব্দটাই না শুণবেন, ঝরনায় গা এলিয়ে শান্তিতে দুদন্ড দাড়িয়েই না থাকবেন, কারবাড়ির ঘরে দুই-এক রাত না কাটাবেন, গাধুলি-সূর্যাস্থ বেলায় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার সময়ই না থাকবে, তাইলে ঘুরতে বের হইয়া লাভ নাই বস জী-বাংলা দেখেন।

জানেন তো, জীবন মানেই জী বাংলা....

-Himu Central Jail