রানা ভাইয়ের অন রিকুয়েস্টে লিখে ফেললাম শেষ পর্যন্ত সিলেটের স্বর্গস্থান সমূহ নিয়ে ট্রাভেল ব্লগ। আশা করি এবার সবার উপকার হবে।
যেদিন সিলেটের রাতারগুল যাচ্ছিলাম, বাসা থেকে বের হবার আগ মুহুর্তে আব্বা জিজ্ঞের করে কই যাচ্ছি? ঠিক মত বলতেও পারি নাই যায়গাটার নাম, কারন যায়গাটা সিলেটের কোথায় সেটাও জানতাম না, পেপারে আগের সপ্তাহে দেখলাম কে জানি গেছে, তাই কি আর করা? দেখে আসি মনে করে ভার্সিটি ফ্রেন্ডদের সাথে দিলাম রওনা।
যা বলছি সেটা ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা।
রাতারগুল (#Ratargul), বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির বন বা বনাঞ্চল । অর্থাৎ জলের বন বা সোয়াম্প ফরেস্ট । যে বনের গাছ পালা পানিতে ডুবে থাকে। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে, গুয়াইন নদীর দক্ষিণে এই বনের অবস্থান। বনের দক্ষিণ দিকে আবার রয়েছে দুটি হাওর: শিমুল বিল হাওর ও নেওয়া বিল হাওর। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। রাতারগুলে বর্ষায় ৪/৫ মাস পানি থাকে।
আর গরমের কালে যাবেন তো খট খটা রোদের মাঝে বনের মাঝে হাটবেন, নৌকা করে আর বন ঘুরা লাগবে না grin emoticon আমরা যে সময় যাই, সেটা বর্ষাকালের পর পরই ছিল, গরম পড়ছিল ৩৬-৩৭ ডিগ্রি করে, তখন তো আর সর্টকাট রুট পাই নাই, ঘাট থেকে ২ ঘন্টা রোদে পুড়ে ইঞ্জিন নৌকায় গেলাম এই বন দেখতে, গিয়ে দেখি বনে যাইতে নাকি ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করা লাগবে। তো ভালো, ৩০ মিনিটের বেশি টিকতে পারি নাই গরমে সেই ডিঙ্গি নৌকায়। তারপর একই পথে রোদে হাত মুখ পুড়ে সিলেট মেইন সিটিতে আসা।
রাতারগুল
সিলেট শহর থেকে গোয়াইন ঘাট যেতে হবে সিএনজি করে, ১/১.৫ ঘন্টা লাগবে, ঘাট থেকে মোটর বোটে করে রাতারগুলে যেতে হবে আরো ২/২.৫ ঘন্টা লাগবে, সেইখান থেকে সোয়াম্প ফরেস্টে ঢুকতে হইলে ডিঙ্গি নৌকা করে বনের ভিতরে ঢুকতে হবে।
পান্থমাই
সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ৪০ কিমি, জাফলং দিয়ে না গিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট রোড হয়ে সালুটিকর হয়ে গেলে পথ কম হবে । ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের নিচে, একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা এই গ্রামটি আসলেই অসাধারণ। দিনে রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ ও ফকিরাপুল এবং গাবতলী হতে বিভিন্ন পরিবহনের এসি, নন-এসি বাস সিলেটের পথে চলাচল করে। ভাড়া ইস্কানিয়া গাড়িতে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা। আম্বরখানা বা হুমায়ুন চত্বর হতে সিএনজি বা মাইক্রো ভাড়া সারাদিনের জন্য ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা থেকে সিলেট গিয়ে আম্বরখানাপয়েন্ট থেকে সি এন জি ট্যাক্সি নিয়ে বলবেন গোয়াইনঘাট এর মাতরতুল এ যাবেন । সেখান থেকে মাত্র ২ কিমি পরেই এই পানথুমাই।
বিছানাকান্দি
বিছানাকান্দি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট যেতে হবে। সেখানে বিমানবন্দর রোডের দিকে সিএনজি স্টেশন আছে। সিএনজি হাদারঘাট নামক জায়গা পর্যন্ত রিজার্ভ করে গেলে ভাল হয়। পাঁচজন মিলে ৪০০টাকায় সাধারণত ভাড়া নেওয়া হয়। তবে মানুষ কম থাকলে ৮০টাকা জনপ্রতিও যাওয়া যায়। বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা অনেক সুন্দর। বিমানবন্দর থেকে সালুটিকর রাস্তায় প্রবেশ করলেই রাস্তা চরম খারাপ। পিচ ঢালা কালো রাজপথে একটু পরপরই ভাঙ্গা গর্ত। খারাপ রাস্তা পার হয়েই আপনি একদম গ্রামের ভেতর ঢুকে যাবেন। দেখতে আপনি হাদারঘাট এসে পৌছাবেন। হাদারপার বাজারেই বিছানাকান্দি যাওয়ার নৌকা পাওয়া যায়। গ্রাম দেখতে সুন্দর বেশ ভুষা দেখে মাঝিরা ২০০০ টাকা চেয়ে বসতে পারে। ভুলেও রাজি হবেন না। নৌকা ভাড়া আসা-যাওয়া সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা হলে ভাল। দরাদরি করে এর চেয়ে কমে পেলে ভাল তবে অবশ্যই এর বেশি দামে যাবেন না। এর চেয়ে হেটে যাওয়া ভাল। বিজিবির একটি অফিস আছে একদম শেষ মাথায়। বিছানাকান্দি নামার আগে অবশ্যই তাদের সাথে পরামর্শ ও অনুমতি নিয়ে নিবেন।
CLICK: মোঃ যায়েদ বিন হাসেম |
CLICK: মোঃ যায়েদ বিন হাসেম |
CLICK: মোঃ যায়েদ বিন হাসেম |
CLICK: মোঃ যায়েদ বিন হাসেম |
CLICK: মোঃ যায়েদ বিন হাসেম |
ক্রেডিটঃ
- খলিলুর রহমান ফয়সাল
- সাব্বির বিন আশরাফ
- অনিরুল আনাম
- জাভিদ বিন হাকিম
# সিলেটের উল্লেখযোগ্য টুরিস্ট স্পট সমূহ, কিভাবে যাবেন, কিসে যাবেন্ ভাড়া কেমন, কোথায় থাকবেন, কি কি প্রয়োজন তার সব বিস্তারিত ভাবে দেয়া আছে এপ্লিকেশনটিতে।
# টুরিস্ট স্পট এর বাইরে সিলেটে আপনি কোথায় থাকবেন, হোটেল, রিসোর্ট কোথায় কি পাওয়া যায়, কোনটী কোন মানের এবং এগুলোর খরচ কেমন, বুকিং সিস্টেম কি সবটাই পাবেন এই এপ্লিকেশনে।
# প্রত্যেকটি হোটেল রিসোর্টের যোগাযোগ নাম্ভার সহ ওয়েব এড্রেস পাবেন এপস টিতে।
# ঘুরতে গেলেন অথচ সিলেটের মুখরোচক খাবার খাবেন না তা কি হয় :) এপসটিতে সিলেটের জনপ্রিয় সব হোটেলের, লোকেশন, খাবার ম্যেনু সহ সব তথ্য পাবেন।
আশা করি ভালো লাগবে। এপ্সটি ফোণে রাখুন আর বেরিয়ে পড়ুন সিলেটের উদ্দেশ্যে।
এপ্স ডাউনলোড লিঙ্কঃ Sylhet/সিলেট ট্যুর গাইড
এপ্সটি তৈরি করছেঃ Hello Tech
Thanks a lot, for your organized valuable information. Keep up the good work.
ReplyDeleteWelcome Bhai
Delete