Saturday, July 11, 2015

জাফলং, সিলেট


অনিয়ন্ত্রিত পাথর উত্তোলন ও পাথরভাঙ্গা (ক্রাশার) মেশিনের উৎপাতে আগের সেই সৌন্দর্য্য অবশিষ্ট না থাকলে ও এখনো সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে জাফলং ‘মাস্ট সি’ গন্তব্য। উত্তর খাসিয়া হিলস থেকে নেমে আসা ডাউকী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে পিয়াইন নাম নিয়ে, এই পিয়াইন নদীর অববাহিকাতেই জাফলং- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে। সিলেট শহর থেকে ৬২ কিমি উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান, গাড়ী থেকে নেমে ভাড়ার নৌকা নিয়ে জিরোপয়েন্টে যাওয়া যায়, যেখানে রয়েছে ডাউকি’র ঝুলন্ত সেতু। খেয়া বা ভাড়া নৌকায় নদী পেরিয়ে পশ্চিম তীরে গেলে খাসিয়া আদিবাসীদের গ্রাম সংগ্রামপুঞ্জি ও নকশীয়াপুঞ্জি। নদীর পাড় থেকে স্থানীয় বাহনযোগে এসব পুঞ্জী ঘুরে বেড়ানো যায়। নকশীয়াপুঞ্জির পাশেই জাফলং চা বাগান। কোন কোন পর্যটক চা বাগানে ঘুরে বেড়াতে ও পছন্দ করেন। 

জাফলং যাওয়ার সাত কিঃমি আগে তামাবিলে ও পর্যটকরা যাত্রাবিরতি করেন। তামাবিল মুলতঃ ল্যান্ড কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট। কাস্টমস অফিসের ঠিক পেছনেই সীমান্তরেখা ঘেঁষে অবস্থান করছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গনকবর। 

তামাবিল যাওয়ার আগে জৈন্তিয়াপুর উপজেলা সদর। ইতিহাসপ্রিয় পর্যটকরা এখানে পুরনো রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ দেখে যেতে পারেন। উল্লেখ্য যে, প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে জৈন্তিয়া ছিলো একটি স্বাধীন রাজ্য যা ১৮৩০ সালে বৃটিশ সাম্রাজ্যের দখলভুক্ত হয়। প্রাচীন রাজ্য জৈন্তিয়ার গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী খাসিয়াদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এখনো কিছু ম্যাগালিথিক স্মৃতিস্তম্ভ চোখে পড়ে। জ়ৈন্তিয়াপুর উপজেলা অফিসের কাছেই রয়েছে সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্র। তেজপাতা, লেবু, সাতকড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান রয়েছে এখানে, এই গবেষনা কেন্দ্র থেকে অদূরেই বেশ কয়েকটি ঝর্ণা দৃশ্যমান। 

জৈন্তিয়াপুর ও তামাবিল এর মাঝামঝি রয়েছে শ্রীপুর। হাতের বামে শ্রীপুর পিকনিক সেন্টার, ডানপাশে একটূ এগিয়ে গেলেই শ্রীপুর পাথর কোয়ারী। 

বিশেষ করে বর্ষাকালে জৈন্তাপুর থেকে তামাবিল পর্যন্ত ভ্রমন এক অনন্য অভিজ্ঞতা। সড়কের পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল খাসিয়া পর্বত, ঘনসবুজে ঢাকা। এই সবুজের মধ্যে সাদা মেঘের দূরন্ত খেলা আর অনেকগুলো ঝর্ণার উচ্ছ্বাস। 

যদি ও শীতকালেই পর্যটক সমাগম বেশী হয় কিন্তু এই অঞ্চলের পাহাড়ের সবুজ, মেঘ ও ঝর্ণার প্রকৃত সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায় বর্ষাকালে। সিলেটে বর্ষা সাধারনতঃ দীর্ঘ হয়। সেই হিসেবে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমনের উপযুক্ত সময়। 

সরাসরি জাফলং যেতে সিলেট থেকে গাড়ীতে সময় লাগে একঘন্টা ত্রিশ মিনিটের মতো। জৈন্তাপুর, শ্রীপুর, তামাবিলে যাত্রাবিরতি করলে সময় সেই অনুযায়ী বেশী লাগবে। সিলেট শহর থেকে ৬-৮ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৪৫০০ - ৫০০০ টাকার মধ্যে। ৯-১২ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৫৫০০ - ৬০০০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার হলে আরেকটু বেশী ও হতে পারে। নৌকা নিয়ে জিরোপয়েন্টে যেতে স্থানীয় নৌকায় ৫০০ টাকার মতো খরচ পড়ে। নাজিমগড় রিসোর্টসের পরিচালনায় কিছু যান্ত্রিক নৌকা ও আছে, এগুলোর খরচ একটু বেশী। 

নদী পেরিয়ে খাসিয়া পুঞ্জিতে যেতে স্থানীয় বাহনে ( ময়ূরী নামে পরিচিত) খরচ পড়বে সময়ভেদে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। 

নদীর পূর্ব পাড়ে স্থানীয় মানের কিছু খাবারের দোকান আছে। পশ্চিমপাড়ে সংগ্রামপুঞ্জির ভেতরে রয়েছে নাজিমগড় রিসোর্টসের পরিচালনায় ‘ক্যাফে সেংগ্রাম্পুঞ্জি’। খাবারের দাম স্থানীয় দোকানগুলো থেকে বেশী কিন্তু খাবারের মান, পরিবেশনা এবং রেস্টুরেন্টের নান্দনিক সৌন্দর্য্য অনুযায়ী খুব বেশী নয়। এই ক্যাফেতে বসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে খাসিয়া পাহাড়, পিয়াইন নদী, ডাউকীর ঝুলন্ত ব্রীজের ছবির মতো দৃশ্য উপভোগ্য।

Despite the loss of its former splendour due to unrestricted mining and crushing of stones, Jaflong is still a ‘must-see’ destination for tourists visiting Sylhet. Flowing from the north Khasi mountains, the river Dauki enters Bangladesh under the name ‘Piyain’, along the bank of which lies the spectacular Jaflong. About 62 km north-east from Sylhet city, Jaflong is in the East Jaflong Union under Guainghat Upazilla. Visitors can hire boats to go to the Zero Point and see the beautiful hanging bridge over the Dauki. Just across the river on the western side are the villages Sangrampunji and Nakshiapunji, which are accessible through ferries or rented boats. Just beside Nakshiapunji is Jaflong Tea Garden which is a top tourist attraction.

Though tourists come in large numbers in winter, one has to visit Jaflong in the rainy season to see the real beauty of the falls cascading from lush green mountains.

On the way to Jaflong visitors usually take a recess at Tamabil, which is about 7 kilometres away from Jaflong. It is mainly a land custom and immigration check post, behind which is a war cemetery, where martyred freedom fighters were buried in 1971, along the Bangladesh-India border. 

On the way to Tamabil is Jaintapur Upazilla Sadar where tourists usually stop for a while to see the ruins of an ancient royal palace. It was not until 1830 that the independent province of Jaintiapur was invaded and brought under the British empire. Some megalithic monuments still stand testimony to the rich past of the Khasi tribe. Not far from the Upazilla Council is the Citrus Research Centre boasting of gardens with local vegetation such as tezpata, sathkora and many other fruits. Adding to the beauty of this research centre is a plethora of cascading waterfalls flowing from the Khasi mountains of India. Situated between Jaintapur and Tamabil is Sreepur which is a popular picnic spot. Travelling through Jaintapur to Tamabil in the monsoon is once-in-a-lifetime experience. Lush green tall Khasi mountains stand upright beside the road. The stunning beauty of white clouds and gushing waterfalls flowing from the green mountains fascinates locals and tourists alike. 

Though tourists come in large numbers in winter, one has to visit Jaflong in the rainy season to see the real beauty of the falls cascading from lush green mountains. As Sylhet witnesses an extended rainy season the perfect time to visit Jalfong is between April and October.

How to go there?

Nearly two hours drive from Sylhet city centre, Jaflong is easily accessible by route. A microbus can be hired for 4000-5000 BDT. A boat trip from Jaflong to the Zero Point costs 500-1000 BDT. A trip to Khasiapunji by the local transport called moyori would cost 500-1000 BDT. 

There are some reasonably good local restaurants on the east side of the river. Café Sangrampunji, a restaurant run by Nazimghar Resorts operates in Sangrampunji on the west side of the river. The cost, despite being higher than that of the local restaurants, is not much in view of its quality, service and the aesthetic appeal of the restaurant. A sip in a cup of coffee while surveying the wonders of the Khasi mountains, the Piyain and the hanging bridge over the Dauki can be an amazing experience for anyone.

Where to stay?

Near To Tamabil There is a Guest house Run By BGB. 

Before that near to Sreepur there is 'Jaintia Hill Resort' 

In Lalakhal Nazimgarh has a World class Resort named as Nazimgarh Wilderness Resorts. 

But most of Visitor prefers to stay in Hotel/ Resorts in Sylhet town as it is just a journey of maximum 2 hours.

Where to eat?

There is some local quality Restaurants on the East side of the river. 

'Café Sengrampunji' a restaurant run by Nazimghar Resort is found in the Khasi village Sengrampunji on the West side of the river. The cost is comparatively higher than the local restaurants but it is not much beside its quality, serving and the artistic beauty of the restaurant. It is really amazing to have a cup of coffee and see the wonderful beauty of the Khasi Hill, Piyan River, and the Hanging Bridge of Dawki.

Information you need to know?

Since Jaflong Zero Point is literally Bangladesh- India Border , Tourist should take exta care. During summer it might be dusty and hot, need care for under age and seniors. At Monsoon sometimes it may affected by flush flood. So get weather information is advisable. 

There is no police station in Jaflong. As it is under Gowainghat Thana Of Sylhet District for any help need to call Officer In charge- 01920393533, UNO- 01730331036.

visitsylhet.com

visitsylhet.com

visitsylhet.com

visitsylhet.com

No comments:

Post a Comment