সাভারের
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সেইরকম জায়গা।
লাইফের ২য় বার গেলাম, প্রথমবার
তো গেসিলাম ভর্তি পরীক্ষা দিতে, পরীক্ষা
শেষ করে দোয়া করতে ছিলাম আল্লাহ যেন এইখানে না টিকি।
ঢাকার বাইরে কেমনে থাকুম? এই
চিন্তা করতে করতে।
উপরের
ওয়ালার হুকুমে আর হয়ত কোন ভালো কাজের সোয়াব আল্লাহ আমারে দিসে, তাই
আমি টিকি নাই। রেজাল্ট পাইয়া কি খুশি আমার! এইডা
২০০৭ সালের কথা।
এবার আসি ২০১৩ সালে, হুম
গত শুক্রবার (২৩/০৮/২০১৩) আবার সেই চেনা পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি গেলাম।
রুট
বলে দিচ্ছি- (ভাব
লইলাম কিন্তু, বান্দরবন
যাইতে যাইতে অনেকে জানতে চায় তো তাই আর কি! আর আমার বিদেশি বন্ধুরা “বিএলটিএস” করে আসি আমার বাংলা বুইজ্জা নিও)
@ বৈশাখী পরিবহন, গুলশান-১> মিরপুর> সাভার> তারপর
আটো ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে ইউনিভার্সিটি গেইট।
জুমার
নামায পড়েই বটতলায় সেইরাম খানা পিনা। খানা পিনার লিস্টি দেখে সিউর আপনে নেক্সট ফ্রিডে তে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি যাইবেন।
ভাত, চিংড়ি মাছের ভর্তা, শুটকি
ভর্তা, বেগুন-আলু
ভর্তা, আরো দুই রকমের ভর্তা ছিল নাম মনে করতে পারতেছিনা, মুরগির
যে পিস খাইলাম ঢাকায় কেএফসি/সিপি
মিপি ফেইল, ডাল
ভুনা, গরুর মাংস, চিংরির
তরকারি (মারাত্বক ছিল), ধুন্দুল
ভাজি, আরো কি খাইছি মনে করতাম পারতেসি না, বাকিটা অনি জানে। বিল কিন্তু ৫০০ টাকা উঠাইতে পারি নাই চার জন মিলিয়ে।
খানাপিনা
শেষ কইরা ভ্যান ধরাইলাম ঘন্টা/১২০, যেখানে ৪ জন
চাপা চাপি কইরা বইলাম।
আরেক ফ্রেন্ড কয় মামু ইউনিভার্সিটির চিপা চাপা খালি নিয়া যাবা, চিপায়
ঘুরুম খালি। চিপায় আর ঘুরা হয় নাই এক ঘন্টায় ইউনিভার্সিটি ঘুরে ফেললাম।
এবার
ফুটু সেশন শুরু, কয়েকটা
ফুটু তুলেই আমরা সবাই কাইত। গরমও কম পড়ে নাই ওইদিন।
ফিরে
আসার আগে ক্লাবের পুকুর পাড়ে কিছুক্ষন বসে থেকে মনে হচ্ছিল এখানে পড়লে সারারাত হয়ত এখানেই আড্ডা মেরে ইউনিভার্সিটি লাইফ কাটিয়ে দেয়া যাইত। কথা প্রসংগে হলের খাবার নিয়ে কথা উঠায় সেই ইচ্ছাটা দমে যায় ওইখানেই।
যাক জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ফ্রেন্ডদেরকে বলি-ভাল্লাগসে খুব তোমাদের ক্যাম্পাসটা, আবার হয়ত আসিব।
ফেরার
সময় রুটটা পরিবর্তন হয়েছে, আশুলিয়া
দিয়ে উত্তরায় আসেছি।
থ্যাংকু অনি Anam ফটো তুলে দেবার জন্য-অনেক সুন্দর হইছে, তোমার প্রাইম লেন্স-এর তারিফ না করে পারলাম না, Mir আওলাদ, আর মাচ্চো ম্যান Akram
No comments:
Post a Comment